• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বাগেরহাটে আম্ফান মোকাবেলায় প্রস্তুত ৯৭৭টি আশ্রয়কেন্দ্র

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২০  

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ৭নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। বন্দরে পণ্য বোঝাই, খালাস ও পরিবহনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ধেঁয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মঙ্গলবার সকালে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে ক্ষয়খতি যাতে কম হয় সেজন্য আগাম প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাওয়ায় জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে আগের মতো গাদাগাদি করে লোক রাখা যাবেনা। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রাখতে হবে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জেলার সব উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রেগুলোর পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাকা ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

জেলায় মোট ৯৭৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে সরাকার এ জেলার জন্য ২০০ মে. টন চাল, নগদ ৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা, গো খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দিয়েছেন। দূর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ৮৫টি মেডিকেল টিম ও রেডক্রিসেন্ট, স্কাউটস, সিপিপির মোট ১১ হাজার ৭০৮ স্বেচ্ছাসেক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার সকল উপজেলায় সকাল থেকে মাইকিং করে জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ মোংলা, শরনখোলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার জনসাধারণ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে। মোংলা বন্দরে অবস্থানরত ১১টি জাহাজকে বন্দরের মূল চ্যানেল থেকে সরিয়ে নিরাপদে রাখা হয়েছে। বন্দরের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে জরুরী কন্ট্রোল রুম খুলেছে বন্দর কর্তৃৃপক্ষ। সম্ভাব্য ঘুর্নিঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। এদিকে শরনখোলা উপজেলায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডার বেড়িবাঁধের সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা ও বগি এলাকার প্রায় ২কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ন রয়েছে। ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ রিং বাঁধসহ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

তবে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ছোবলে যে কোন সময় বাধ ভেঙ্গে গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছে গাবতলা ও বগি এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। সুন্দবনের পূর্ব বনবিভাগের ডিএফও মো. বেলায়েত হোসেন জানান, সুন্দরবনের পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের ১০টি স্টেশন ও টহল ফাড়ির সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পাশের বন অফিসে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। একই সাথে দুর্যোগের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুস্কৃতিকারীরা যাতে হরিণসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী ও বনজ সম্পদ ধ্বংস করতে না পারে সে জন্য সুন্দরবনে অবস্থানরত সকল কর্মচারীদের সর্তক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা