• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বাগেরহাটে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপক প্রস্তুতি

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২০  

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। বিশেষ করে দেশের দ্বিতীয় সমুদ বন্দর মোংলায় বিশেষ টিম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের সনাক্তে কাজ করছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বাগেরহাট জেলা সদর ও ৮টি উপজেলায় হাসপাতালে ২৯ বেড। একই সাথে জেলা সদরে ২ শত বেড ও প্রতিটি উপজেলায় ১ শত বেডের একটি করে কোয়ারেন্টন সেন্টার করা হয়েছে। একই সাথে ওয়ার্ড হেরিটেজ সাইট ষাটগুম্বজ মসজিদ, হযরত খানজাহান (র:) মাজার ও সুন্দরবনে পরিদর্শনে আসা বিদেশি পর্যটকদের বিষয়ে অতিরিক্ত সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। 

মোংলা বন্দরে আসা ফিলিপাইনের নাগরিক ৩ নাবিককের উচ্চমাত্রার জ্বর-সদিকাশি থাকায় ইতিমধ্যে তাদের ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টন সেন্টারে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে। তবে তাদের শরীরে এখনো করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির বলেন, জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুবই সন্তোষজনক অবস্থায় আছে। রোগীদের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত মাস্কের ব্যবস্থা রয়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কারও শরীরে যদি জ্বর সর্দি, কাশি থাকে তাহলে হটলাইনে ফোন দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। বাগেরহাটের হট লাইন নম্বর-০১৭৪২-৮২৭৭১২, ০১৭৯৯-৮০৪৬৬৪।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের করোনাভাইরাস আইসোলেশন ইউনিটের ইনচার্জ মেডিকেল অফিসার ডা. জুনায়েদ সাফার মাহমুদ জানান, সতর্কতা অবলম্বনের স্বাস্থ্য বিভাগ তৎপর রয়েছে। এর আগেও তিন চীনা নাগরিকসহ ৫ জনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা সে জন্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

মোংলাবন্দরে করোনাভাইরাস প্রবেশ প্রতিরোধে থার্মাল ও কোয়ারেন্টাইন টেস্টের মাধ্যমে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু রয়েছে। স্ক্যানিংয়ের পরই মোংলাবন্দরে ঢোকার অনুমতি মিলছে চীনসহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা জাহাজের নাবিকদের।

মোংলাবন্দরের পোর্ট হেলথ কর্মকর্তা ডা. সুফিয়া খাতুন জানান, এই বন্দরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে থার্মাল ও কোয়ারেন্টাইন টেস্টের মাধ্যমে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে পালন করছে। মোংলাবন্দর থেকে কোনো নাবিক বাইরে যেতে চাইলে মেডিকেল স্ক্যানিংয়ে সুস্থতা সাপেক্ষেই শুধু অনুমতি দেয়া হচ্ছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ সকল সংস্থা সচেতনতা মূলক কার্যক্রম করবেন। তবে আলোচনার মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে এমন কোনো কথা বলা যাবে না। কারণ করনো ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকল স্তরের জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুটি করে রেসপন্স টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই টিম করোনা প্রতিরোধ ও শনাক্তে সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করবে। 


 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা