• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বাগেরহাটে প্রস্তুত হচ্ছে ২৩৪টি আশ্রয় কেন্দ্র

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২০  

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে প্রশাসন।

দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটি জেলা ও ঝুঁকিপূর্ণ চার উপকূলীয় উপজেলায় জরুরি সভা করেছে। ঝড় আসার আগেই মাঠের ধানকেটে ঘরে তোলার জোর চেষ্টা চলছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দুর্গতদের আশ্রয় দিতে জেলার ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও সংশ্লিষ্ট উপজেলার স্কুল ও কলেজগুলো খোলা রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, “স্থানীয় মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জেলা ও উপজেলাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি মজুদ রাখতে বলা হয়েছে।”

তিনি জানান, এই দুর্যোগে মাঠে থাকা বোরো ধান দ্রুত কেটে ঘরে তুলতে কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় মোংলা বন্দরের জাহাজ ও নৌযান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

হারবার মাস্টার শেখ ফকর উদ্দিন বলেন, বন্দরে বর্তমানে সার, ফ্লাইএ্যাশ, কয়লাবাহী মোট ১১টি দেশি-বিদেশি জাহাজ রয়েছে। বিকেল নাগাদ আরও চারটি জাহাজ বন্দরে ভেড়ার কথা রয়েছে।

“বন্দরে অবস্থান নেওয়া জাহাজগুলোতে পণ্য ওঠানামার কাজ অব্যাহত রয়েছে। বন্দরে একটি ঝড় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ঝড় মোকাবেলায় বন্দরের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হয়েছে ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে, ধেয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে।

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদদের ধারণা, মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্পান।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টির আভাস দিয়ে আবহাওয়া অফিস বলেছে, ঘূর্ণিঝড় উপকূলের কাছাকাছি এলে প্রচুর বৃষ্টি ঝরাবে।

মাঠে পেকে যাওয়া বোরো ধান যাতে বৃষ্টিতে নষ্ট না হয়, সেজন্য দুর্যোগ শুরুর আগেই তা কেটে কৃষকের ঘরে তুলতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

বাগেরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫২ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।

“চারটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার, ৯৭টি রিপার ও হ্যান্ড রিপার এবং স্থানীয় সেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় ইতোমধ্যে ৮৫ শতাংশ ধান কেটে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছি। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে মাঠে থাকা বাকি ধান কেটে ঘরে তুলতে এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে সহযোগিতা করছেন।”

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা