• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বাগেরহাটে বিআরটিএ’র সেবা প্রদানে ধীরগতি

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) বাগেরহাট সার্কেলের অফিসে সেবা প্রদানে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন যানবাহন মালিক ও চালকরা। 

বাগেরহাট সার্কেলে সহকারী পরিচালক মো. তানভীর আহমেদ একাই তিনটি সার্কেলের (জেলার) দায়িত্ব পালন করছেন। নিজের মূল দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলার দায়িত্বে রয়েছেন।

বাগেরহাটে বিআরটিএ’র কোনো অফিস ছিল না। খুলনা সার্কেল অফিসে সেবা নিতে যেতে হতো বাগেরহাটবাসীকে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে বাগেরহাটে বিআরটিএ সার্কেলের পূর্ণাঙ্গ অফিস চালু হয়।

এরমধ্যে নতুন সড়ক পরিবহণ আইন পাস হয়। এরপর বিআরটিএ কার্যালয়ে সেবা গ্রহীতার সংখ্যা পূর্বের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। প্রতিদিন শতাধিক লোক বিভিন্ন সেবা নিতে আসতে শুরু করে বিআরটিএ কার্যালয়ে।

বাগেরহাটে বিআরটিএ’র অফিস চালুর পর থেকে বিভিন্ন সেবার জন্য ৩ হাজারের অধিক আবেদন পড়েছে। একজন সহকারী পরিচালক, একজন পরিদর্শক, একজন অফিস সহকারী, একজন অফিস সহায়ক এবং একজন সিল মেকানিকের পদ রয়েছে এই সার্কেলে। জেলার বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর সেবা দেয়ার জন্য এই জনবল যথেষ্ট নয়। এরমধ্যে জানুয়ারি মাস থেকে বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন পিরোজপুর ও ঝালকাঠিতে জেলায়।

বাগেরহাট শহরের পুরাতন কোট চত্বর এলাকায় বিআরটিএ’র অফিসে সেবা নিতে আসা যানবাহনের মালিকরা জানান, নতুন সড়ক পরিবহণ আইনকে স্বাগত জানিয়ে এবং দায়িত্ববোধ থেকে তারা গাড়ির কাগজপত্র নবায়ণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে এসেছেন। তবে সময় মতো সেবা না পেয়ে অনেকে হতাশা হচ্ছেন।

মোটর সাইকেলের মালিকানা পরিবর্তন করতে আসা শেখ সোহেল হোসেন বলেন, গত বছরের ১৪ নভেম্বর মোটর সাইকেলের মালিকানা পরিবর্তন করতে টাকা জমা দিয়েছেন। এখনো তার কাজ হয়নি। অনেক বার এসেছেন। কিন্তু মালিকানা পরিবর্তন না হওয়ায় সড়কে সার্জেন্টরা ঝামেলা করে।

রফিকুল ইসলাম বলেন, মোটর সাইকেলের ডিজিটাল প্লেটের জন্য অনেক আগে টাকা জমা দিয়েছেন, কিন্তু এখনো পাননি।

বাগেরহাট বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা বলেন, নতুন আইন হওয়ার পর অনেকে ১৫/২০ বছর পুরনো গাড়ির কাগজপত্র ঠিক করতে আসছেন। আগের চেয়ে ভিড় অনেক বেশি। 

সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেন, প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় তাদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা