• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বাগেরহাটে সঙ্কট কাটবে দশটি ভেন্টিলেটরে, দ্রুত চালুর দাবি

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২১  

বাগেরহাটের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল দশটি ভেন্টিলেটর (আইসিইউ বেড) বরাদ্দ পেয়েছে। এর ফলে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীদের সেবায় যে সংকট ছিল তা অনেকাংশে কেটে যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের প্রচেষ্টায় ভেন্টিলেটরগুলোর ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে, স্বাস্থ্যবিভাগকে দ্রুত এই ভেন্টিলেটরগুলো চালুর উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছে সচেতনমহল।

বাগেরহাট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও প্রবীণ সাংবাদিক আহাদ উদ্দিন হায়দার বলেন, গত বছরের মার্চ মাসে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে তখন থেকে সারাদেশের মত বাগেরহাটবাসীও উদ্বিগ্ন ছিল। তখন বাগেরহাটের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অন্তত সহস্রাধিক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন। মারা যান অন্তত ২৭ জন। মারা যাওয়াদের অধিকাংশ মানুষের জন্য প্রয়োজন ছিল আইসিইউ বেড। কিন্তু বাগেরহাটের হাসপাতালে কোনো আইসিইউ ছিল না। তাই, সচেতনমহল বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আইসিইউ বেড চালুর দাবি তোলেন।

আহাদ উদ্দিন হায়দার আরও বলেন, ‘সেই দাবির প্রেক্ষিতে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় সাধারণ মানুষের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আগ্রহী হন। তার নিরলস প্রচেষ্টায় আমরা দশটি ভেন্টিলেটর পেয়েছি। আমরা বাগেরহাটবাসী এজন্য চিরকৃতজ্ঞ। মহামারির এই সময়ে পাওয়া ভেন্টিলেটরগুলো জরুরি ভিত্তিতে যেন হাসপাতালে চালু করা হয় তার ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’

এছাড়া বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের মার্চ মাসে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকে তখন থেকে বাগেরহাটের চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা দিতে অনীহা দেখায়। সেজন্য আমাদের বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাসপাতালের সামনে ডক্টর সেফটি চেম্বার করে দেন। সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে হাসপাতালের ভিড় কমাতে তিনি ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার- এই সেবা চালু করেন। গর্ভবতী মায়েদের জন্য বাড়িবাড়ি পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দেন। সংকটাপন্ন রোগীদের কিভাবে আরও ভাল চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা যায় সেজন্য তিনি স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে আইসিইউবেড স্থাপনের উদ্যোগ নেন। অল্প সময়ে এই আইসিইউবেড চালু করে সাধারণ মানুষের সেবা নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছি।’

বাগেরহাটের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘বাগেরহাটবাসীর জন্য এটি একটা বড় সুসংবাদ। ভেন্টিলেটর অর্থাৎ আইসিইউ বেড সাধারণত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে সরকার বরাদ্দ দিয়ে থাকে। সেখানে জেলা শহরের একটি হাসপাতালে দশটি ভেন্টিলেটর বরাদ্দ। যা অকল্পনীয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভেন্টিলেটর ব্যবহার জন্য যে প্রস্তুতি আমাদের প্রয়োজন সেই কাজ আমরা ইতিমধ্যে শুরু করেছি। আইসিইউ কক্ষ, বেডসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি।’

এই আইসিইউ চালু করা গেলে জেলায় করোনা আক্রান্ত সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে পারবেন বলে আশা করছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা