• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বাগেরহাটে ৪৪২ হেক্টর জমির বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১০ এপ্রিল ২০২১  

হঠাৎ ঝড় ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। খরা ও গরম বাতাসে ধান চিটা হয়ে গেছে। বাতাসের তোড়ে কিছু ক্ষেতের ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। সম্প্রতি হঠাৎ গরম ঝড়ো হওয়ায় কৃষকদের ক্ষেতের ধান ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পাশাপাশি অনাবৃষ্টিতে ধানের ফলন ব্যাহত হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, জেলায় নয় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে অনাবৃষ্টি ও গরম ঝড়ো হাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৪২ হেক্টর জমির ধান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চিতলমারী উপজেলায়। এ এলাকায় ২০০ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যথাসময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হলে ক্ষতির পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়বে।

জেলার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফলন্ত ধানের এমন ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষীরা। করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়স্বজন ও বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ধানের আবাদ করেছেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের বড় একটি অংশ। এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব না হলে জীবিকার জোগান দেয়া দূরের কথা ঋণ পরিশোধ করাই কঠিন হয়ে পড়বে এসব কৃষকের জন্য।

কৃষি বিভাগ বলছে, ফের বড় ধরনের ঝড় না হলে এবং খরা কমলে কৃষকরা ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে উঠতে সক্ষম হবেন। তাদের সংকট মোকাবেলায় সব ধরনের পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

সম্প্রতি চিতলমারী উপজেলার শ্রীরামপুর বিলে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, কিছু কিছু জমিতে বোরো ধানগাছ হেলে পড়েছে। কোনো কোনো জমিতে ধানগাছ ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও ধান চিটা হয়ে গেছে। ধানে শীষগুলো শুকিয়ে গেছে।

কৃষক রত্না বৈরাগী, সাথী মণ্ডল ও রনজিত কুমার বলেন, খুব আশা করে বোরো ধানের আবাদ করেছিলাম। এক মাসের মধ্যেই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারতাম। কিন্তু এখন ধানের যে ক্ষতি হয়ে গেল, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।

চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দিন বলেন, মহামারী করোনার কারণে এমনিতেই মানুষ নানা সংকটে আছে। এরই মধ্যে হঠাৎ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক কৃষকের ধানের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের যাতে সরকার সহায়তা দেয় সে দাবি জানাচ্ছি।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটের নয়টি উপজেলায় ৫৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে এবার বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ঝড়ো হাওয়া ও অতিরিক্ত তাপমাত্রায় এসব উপজেলার ৪৪২ হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা