বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে এড. আমিরুল আলম মিলন

বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এড. মোঃ আমিরুল আলম মিলন। গতকাল রবিবার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপ-নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই শেষে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করেন উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ইউনুস আলী। এর ফলে বর্তমানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিলন একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।
খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ইউনুস আলী বলেন, ঋণ খেলাপি হওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীর মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া সময় মত পৌর কর পরিশোধে ব্যর্থতা ও খেলাপি ঋণ থাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মনোনয়ন পত্রটিও বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে এখন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এড. মোঃ আমিরুল আলম মিলন একক বৈধ প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বাতিল প্রার্থীরা ২৬ তারিখের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে পারবেন। ২৯ তারিখের মধ্যে এই আবেদনের নিষ্পত্তি করবেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনেও যদি তাদের প্রার্থীতা বাতিল হয় তাহলে ১ মার্চ এড. আমিরুল আলম মিলনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ জানুয়ারি ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ মোজাম্মেল হোসেন মৃত্যুবরণ করলে আসনটি শূন্য হয়। ৬ ফেব্র“য়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। গত ১৯ ফেব্র“য়ারি মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এড. আমিরুল আলম মিলন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও  জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়ায় এই আসনে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিলন।