• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

ভূতের ছবি দেখতে গিয়ে প্রেক্ষাগৃহেই ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০১৯  

ছুটি কাটাতে ভিনদেশে গিয়েছিলেন। ঘোরাফেরার ফাঁকে ইচ্ছে হলো, একটা সিনেমা দেখার৷ থাইল্যান্ডের থিয়েটারে দেখার জন্য বেছে নিয়েছিলেন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ভূতের ছবি ‘অ্যানাবেল কামস হোম’। কিন্তু ভয়-রোমাঞ্চের অন্যরকম অনুভূতি নিতে গিয়েই ভয়ংকর পরিণতি। সিনেমা হলেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন ৭৭ বছরের ব্রিটিশ নাগরিক বার্নার্ড শ্যানিং।

গ্রীষ্মের ছুটিতে ব্রিটেন থেকে থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন ৭৭ বছরের বার্নার্ড শ্যানিং। এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে অ্যানাবেল সিরিজের আরেকটি রোমহর্ষক ছবি – ‘অ্যানাবেল কামস হোম’। বার্নার্ড ভাবলেন, ছুটির মাঝেই ছবিটা দেখে নেয়া যাক। আর তাতেই ঘটলো ভয়ংকর পরিণতি। সিনেমা হলেই মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়লেন বার্নার্ড।

জানা যায়, এক সন্ধ্যায় টিকিট কেটে তিনি ঢুকে থিয়েটারে যান। সিনেমা নির্ধারিত সময়েই শুরু হলো। কিছুক্ষণ ধরে ছবি দেখলেন। কিন্তু পর্দায় নানা ভৌতিক কাণ্ডকারবারে পরিবেশটা আরও একটু গা-ছমছমে হতেই আর স্নায়ু নিয়ন্ত্রণে থাকেনি বার্নার্ডের। হৃদঘাতে মৃত্যু হয় তার।

সিনেমা শেষ হওয়ার পর থিয়েটারের আলো জ্বলে ওঠে। আর তখনই সকলের চোখে পড়ে বার্নার্ডকে। স্থানীয় এক মহিলা মন্থিরা ফেনগ্রাত তাকে দেখে শিউড়ে ওঠেন। তিনিই সকলকে ডেকে আনেন। তার কথায়, ‘সিনেমা হলের সামনে কয়েকজনকে ডেকে ঘটনা বলি। সবাই মিলে ভিতরে যাই। ওই বয়স্ক ভদ্রলোককে উদ্ধার করে কাছের হাসপাতালে ভর্তি করাই। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, উনি সিনেমা দেখতে দেখতেই মারা গেছেন। সিনেমা হলের কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা সচেতন ছিলেন, যাতে কেউ ছবি তুলে আরো বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে।’

এ ব্যাপারে থাই পুলিশের অন্যতম শীর্ষকর্তা পোলপাথাম থাম্মাচাট জানিয়েছেন, বার্নার্ডের মৃত্যু হয়েছে সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে, এটাই প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারছি আমরা। তবে বিস্তারিত ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই সব প্রকাশিত হবে। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি। কাউকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখা হচ্ছে না।’

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা