• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

মাগুরা ও সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গে ২ জনের মৃত্যু

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২০  

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গে (জ্বর, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট) মাগুরার মহম্মদপুরে আইসোলেশনে থাকা এক ব্যক্তি ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় এক কলেজ ছাত্র মারা গেছে। 

মহম্মদপুর: মহম্মপুরে মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম বাকি মিয়া (৪৫)। তার বাড়ি উপজেলার ছোট কলমধারী গ্রামে। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ওই যুবকের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

মহম্মদপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোকছেদুল মোমিন জানান, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত বাকি বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক আবু আহসান তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর কভিড-১৯ আক্রান্ত সন্দেহে সন্ধ্যায় তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সকালে তাকে ফরিদুপর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই তার মৃত্যু হয়। 

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার আবু আহসান বলেন, ‘ওই ব্যক্তি কয়েকদিন ধরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তার মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বেশকিছু লক্ষণ থাকায় তাকে আমরা আইসোলেশনে রেখেছিলাম। শুক্রবার ভোরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।‘

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোকছেদুল মোমিন বলেন, ‘নিহত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি-না তা নিশ্চিতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হবে।‘

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, ওই যুবকের মৃত্যুর খবর জানার পর তাদের বাড়িসহ আশপাশের এলকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কলেজছাত্র মারা যায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। তার বাড়ি সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে। ওই কলেজছাত্রের মৃত্যুর খবর জানার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, তার শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

ওই কলেজ ছাত্রের নাম হাসান আলী (২০)। সে সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাহারুল ইসলামের ছেলে ও ঝাউডাঙ্গা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল।

তার মা রোজিনা খাতুন জানান, গায়ে জ্বর-গলাব্যথা-শ্বাসকষ্ট থাকায় সে দুর্বল হয়ে পড়ে। স্থানীয় গ্রাম্যডাক্তার দেখিয়ে তাকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর সময় তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছিল।

বল্লী ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইরাদ আলী জানান, হাসানের ৬/৭ দিন ধরে জ্বর, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট ছিল। তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তার পরিবারের সদস্যরা লাশ থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছেন। ওই বাড়ির আশেপাশে কেউ যাচ্ছে না। গ্রামপুলিশ দিয়ে বাড়িটি পাহারায় রাখা হয়েছে।

সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত বলেন, ‘খবর পাওয়ার পর একটি মেডিকেল টিম সেখানে পাঠানো হয়েছিল। তারা তার শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ পাননি। তবে তার পরিবারের সদস্যরা চাইলে তার দেহের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরের কাছে পাঠানো হবে।‘

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা