• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

‘মিনি সুন্দরবন’ এখন পাখিদের অভয়ারণ্য, পর্যটকের ভিড়

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২০  

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা সীমান্তের ‘মিনি সুন্দরবন’ এখন পাখিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন আসছে পর্যটক। সীমান্তের চিত্রা নদীর দুই পাড়ের চরে বিস্তীর্ণ এলাকায় জুড়ে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নিয়েছে সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছপালা। সেখানে যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজের হাতছানি। এই বন এলাকার যথাযথ সংরক্ষণের জন্য ইকো-পার্ক তৈরির দাবি করেছেন এলাকাবাসী। পাখি ও বন রক্ষা করছে স্থানীয় মানুষ।

আজ রবিবার ওই মিনি সুন্দরবন দেখতে ঢাকা হতে সন্তানদের নিয়ে আসেন গার্মেন্টস কর্মী বাবলু মন্ডল। তিনি বলেন, ‘লোকালয়ের মধ্যে গড়ে ওঠা এই বন দেখলে মূল সুন্দরবনেরই অনুভূতি পাওয়া যায়। বাগেরহাট জেলা শহরের কাছেই এই বনের অবস্থান। ফলে সন্তানদের নিয়ে এখানের বন, নদীসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরা যায়। মূল সুন্দরবন এখান থেকে শতাধিক কিলোমিটার দূরে। এই বনে প্রায় ৮০ শতাংশ পানকৌড়ি, বক ১৫ শতাংশ, বাকি পাঁচ শতাংশের মধ্যে আছে ধানশালিক (গোচনদানা), বুলবুলি, কুলাপতি, টুনটুনিসহ অন্যান্য পাখি।

বন সম্পর্কে স্থানীয় লেখক পংকজ মণ্ডল জানান, চিতলমারীর রায়গ্রাম থেকে শুরু হয়ে খড়িয়া গেট পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার এলাকার প্রায় ১০টি গ্রামের নদীকূল জুড়ে এই বন গড়ে উঠেছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছের বীজ জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে এই বনের সৃষ্টি হয়। এসব বীজের মাধ্যমে চরের জমিতে সুন্দরী, গোল, ওড়া, কেওড়া, গরানসহ নানা প্রজাতির অসংখ্য গাছ জন্ম নিয়েছে। তিনি ২০১৫ সালে এই বনকে নিয়ে ‘চিত্রার চরে আরেক সুন্দরবন’ শিরোনামে প্রথম স্মরণিকা প্রকাশ করেন। এরপর থেকে এ বনের পরিচিতি দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে এই এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিশিষ্ট পাখি বিশেষজ্ঞ শরীফ খানসহ বিভিন্ন বিজ্ঞজন।

চিতলমারী সাহিত্য পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় খিলিগাতী গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক মুকুল চন্দ্র ঢালী জানান, এখানকার পাখি, গাছপালা এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণিদের নিরাপত্তাসহ বনটি সংরক্ষণ করতে পারলে পর্যটন শিল্পের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।

চিতলমারীতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুল আলম জানান, বনটি পরিদর্শন করে প্রাণি ও গাছপালা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বাগেরহাট জেলা সামাজিক বন কর্মকর্তা চিন্ময় মধু জানান, বনটি তিনি দেখেছেন। এটি সুন্দরবনের আদলেই গড়ে উঠেছে। এটা সংরক্ষণ করতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা