• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র: আগামী তিন বছরের মধ্যেই উৎপাদন শুরু

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১১ জানুয়ারি ২০২০  

রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রর প্রায় ৪০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। শুরুতে নানা প্রতিবন্ধকতায় থেমে থাকা বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণে এখন তিন শিফটে কাজ করা হচ্ছে। রাত দিনের ২৪ ঘণ্টা কাজ করে শুরুতে অপচয় হওয়া সময় পুষিয়ে নিতে চাচ্ছে বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী বিদ্যুত কেন্দ্রর উদ্যোক্তারা। সরকারের দশ অগ্রাধিকার প্রকল্পর মধ্যে রামপাল একটি।

বিদ্যুত কেন্দ্রটির সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখন পর্যন্ত ৩৭ ভাগের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ২০২০ সালের ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদ্যুত কেন্দ্রটিতে মোট ২০ হাজার পাইলিং করতে হচ্ছে। যার মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি পাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বিদ্যুত কেন্দ্রটির ইউনিট-১ এর বয়লার এবং চিমনির কাজ চলছে। একই সঙ্গে কয়লা খালাস করার জন্য জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। ইউনিট-১ এর সঙ্গে সমান্তরাল গতিতে চলছে ইউনিট-২ এর নির্মাণ কাজ। যে ইউনিটটি ২০২১ এর জুনে উৎপাদনে আসার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেন্দ্র নির্মাণে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না এমন সমীক্ষা শেষে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রের কাজ শুরু করা হয়। শুরুতে ইউনেসকো রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্রর বিষয়ে আপত্তি জানালেও পরে তা তুলে নেয়াতে কাজ শুরু করা হয়।

রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র সূত্র বলছে, বিদ্যুত কেন্দ্রের জমির মাটির মান ভাল না হাওয়াতে সেখানে পাইলিং বেশি করতে হচ্ছে। একই ক্ষমতার বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য পায়রাতে আট হাজার পাইলিং লাগলেও রামপালে প্রয়োজন হচ্ছে ২০ হাজার। এতে করে ১২ হাজার পাইলিং বেশি লাগার ফলে কেন্দ্রের নির্মাণ ব্যয় ও সময় দুটোই বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন রামপাল সরকারের ১০ অগ্রাধিকার প্রকল্পর মধ্যে একটি। ফলে কেন্দ্রটি বাস্তবায়নে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি সেল পৃথকভাবে কাজ করছে।আশা করা যাচ্ছে আগামী তিন বছরের মধ্যেই উৎপাদন শুরু হবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা