রামপালে অবৈধ দখলদারদের বাঁধায় খাল খনন ব্যহত

বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় রামপাল-মোংলায় ৮৩টি খাল খননের চলছে। প্রভাবশালী ও অবৈধ ঘের দখলবাজদের বাধা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের মারপিটের কারনে খাল খনন ব্যহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের মোল্লাহাট পওর শাখা-১ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ হুমায়ুন কবির প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। পাঠানো প্রতিবেদন ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সাতপুকুরিয়া এলাকায় ইয়াছিন খাল খননের জন্য সরজমিন পরিদর্শন পূর্বক সীমানা চিহ্নিত হরে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। ওই খাল খনন করতে গেলে খালে থাকা অসংখ্য অবৈধ বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা মৎস্যঘের মালিকদের বাঁধার সম্মুখিন হন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা।

গত ১ ফেব্রুয়ারী সকাল অনুমান ৯ টার দিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা শ্রমিকসহ সাতপুকুরিয়া গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে পৌছালে চিহ্নিত ঘের দখলবাজ ঘের মালিক মোঃ আলম হাওলাদার, হাসান হাওলাদার, মোঃ হালিফা হাওলাদার, মহিউদ্দিন মোছাল্লি, মান্নান মোছাল্লি ও মোঃ সুলতান হাওলাদারসহ কতিপয় দুবৃত্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সদস্য মহিদুলকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে।

এসময় শ্রমিকদের জন্য খরচের ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় রামপাল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করা হয়। এই ঘটনাটি তাৎক্ষনিকভাবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রামপাল থানা ও পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান বরাবর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন করেন। অভিযোগের বিষয় অভিযুক্তদের সাথে কথা বলার জন্য সরজমিনে গিয়ে ও কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাহিদ উজ্জামান খানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘেল দখলবাজদের অবৈধ বাঁধ ও দখলের কারনে খনন কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। এ জন্য তিনি সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।