• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

শরণখোলায় বন্ধের পরও চলছে ৫ করাত কল

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

বাগেরহাটের শরণখোলায় আবার চালু করা হয়েছে বন্ধ করে দেয়া সেই পাঁচটি করাত কল (স’মিল)। সুন্দরবন থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে এ করাত কলগুলো বসানোর কারণে গত ৩১ ডিসেম্বর উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ যৌথ অভিযানে এগুলো বন্ধ করা হয়।

এ ঘটনায় পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের পক্ষ হতে করাতকল আইনে ওই পাঁচ করাত কল মালিকের বিরুদ্ধে পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দেয়ার পর মিলগুলো কিছুদিন বন্ধ ছিল।

তবে মামলা চলমান অবস্থায় আইনকে চ্যালেঞ্জ করে আবারো পুরোদমে কাঠ চেরাই শুরু করেছে ওই সব অবৈধ করাত কলের মালিকরা।

মামলা হওয়া করাত কল মালিকরা হলেন- উপজেলার সাউথখালী ইউপির বকুলতলা গ্রামের শামসুল হক মাস্টার, নূরুল হক আড়ৎদার, আ. গণি হাওলাদার, তাফালবাড়ি এলাকার আলাউল ইসলাম সেলিম ও ফারুক হোসেন।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, স’মিল মালিকরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সুন্দরবনের চার-পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় এ মিলগুলো বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা বিভিন্ন কাঠ চেরাই করে আসছে। মামলা হওয়া সত্ত্বেও তারা থেমে নেই।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দশ কিলোমিটারের মধ্যে করাত কল বা কোনো প্রকার মিল, কলকারখানা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবুও শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু করাত কল বসিয়ে কাঠ চেরাই করে আসছে। সম্প্রতি পাঁচটি করাত কলে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয়ার পরও তারা আইন অমান্য করে মিলগুলো চালু করেছে। এ ব্যাপারে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শরণখোলার ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহিন বলেন, মিলগুলো বন্ধ করে মামলা দেয়ার পরও ফের চালু করায় আইনকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে মিল মালিকদের পক্ষে আ. গণি হাওলাদার বলেন, আমরা কিছুদিন স’মিল চালিয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে তা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা