• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

শীতে কতটুকু পানি পান করা নিরাপদ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২০  

শীতে ঠান্ডার ভয়ে অনেকে পানি থেকে কয়েক হাত দূরে থাকেন। আবার গরমের দাপট কমতেই আমাদের পানির তেষ্টাও কমে গেছে। ফলে পানি খাওয়াও কম হচ্ছে। যেখানে অন্যান্য সময়ে ১২ থেকে ১৪ গ্লাসের বদলে ৫থেকে ৬ গ্লাস পানি পান করে দিন কাটাচ্ছেন। এতে দেখা দিচ্ছে শরীরে নানা সমস্যা।

শরীরে পানিস শূন্যতা, শুষ্কতা, ত্বক শুষ্ক হয়ে ব্রণ বা র‍্যাশ হওয়া, চামড়া ওঠা, এ থেকে আবার ঘা হওয়া। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে শরীরের  পানির চাহিদার কমে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। তবে এটাও ঠিক, গরম কালের মতো শীতকালে বাড়তি পানির চাহিদা কিছুটা স্বাভাবিক নিয়মেই কমে যায়। বেশি বয়সে অনেককেই প্রেশার, সুগার, কোলেস্টেরল সহ নানান ধরনের ওষুধ খেতে হয়। 

এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান না করলে শরীরে নানান ক্ষতিকর পদার্থ জমা হতে শুরু করে। আবার উচ্চরক্তচাপ, কিডনির অসুখ, লিভারের অসুখ, হার্ট ফেলিওর ইত্যাদি কারণে অনেকের হাত, পা বা পেটে তরল জমে গিয়ে ফুলে যায় বা অল্প পরিশ্রমে শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হয়।  তাদের শরীরের বাড়তি জলীয় অংশ বের করে দেয়ার জন্য  ল্যাসিক্স জাতীয় ওষুধ খেতে হতে পারে। যারা এই ওষুধ খান, তাদের শরীরে পানির চাহিদা তুলনামূলক বেশি থাকে। 

শীতের সময় ঠান্ডার ভয়ে পানি পান করা কমালে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সকালে  ঘুম থেকে উঠে  ঠান্ডা পানি খেতে অসুবিধা হলে শীতের সকালে চায়ের আগে গরম পানি খেয়ে দিন শুরু করুন। পানিকে অনেকে ওষুধের সঙ্গেও তুলনা করেন, কেননা শরীরে জমে থাকা নানান টক্সিক প্রস্রাব ও ঘামের মাধ্যমে শরীরের বাইরে বেরিয়ে গিয়ে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। 

তাই শীতের দিনেও  ন্যূনতম ১.২ থেকে ১.৫ লিটার পানি পান করা দরকার। যদিও শীতকালে এয়ারকন্ডিশনে থাকার ঘটনা কম, তবু যাদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থাকার অভ্যাস, তাদের শরীরে পানির চাহিদা বেশি। তাদের অবশ্যই দৈনিক ১.৫ লিটার পানি পান করা উচিত। প্রতিদিনের শরীরে প্রয়োজনীয় পানির বিশ শতাংশ পূরণ হয় খাবারের জলীয় অংশ থেকে আর বাকিটা চা, কফি, দুধ, বোতলজাত ঠান্ডা পানীয়, ফল বা ফলের রস বা হার্ড ড্রিংকসের মতো জলীয় খাবার থেকে আসে। এছাড়া তরমুজ বা পালং শাকের মতো খাবারে নব্বই শতাংশের বেশি পানি থাকে, এরা পুষ্টির সঙ্গে শরীরের পানির চাহিদাও মেটায়।  

এই সময় পানি বেশি খেতে না পারলে ফলের রস, ডাবের পানি খেতে পারেন। এমনকি যেসব খাবার এবং ফলে পানির পরিমাণ অনেক বেশি, সেগুলো রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। এতে পানির চাহিদা যেমন পূরণ হবে, তেমনি বারবার ঠান্ডা পানিও খেতে হবে না।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা