• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

শেখ হাসিনা সারা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় নেতৃত্বের উদাহরণ: ড. হাছান

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২০  

শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশ সারা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় নেতৃত্বের উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ হিসেবে অভিষিক্ত শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক নন, শুধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নন, তিনি আজ বিশ্বের সামনে একটি অনুকরণীয় নেতৃত্বের উদাহরণ।

শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রোববার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রত্যাবর্তন নয়, গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণার প্রত্যাবর্তন

ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সৎ ও কর্মঠ রাষ্ট্রনায়কদের অন্যতম হিসেবে বর্ণনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৮১ সালের এই দিন ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। তখন জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করে মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসিত করে দেশে পাকিস্তানি ভাবধারা ফিরিয়ে এনেছিল। তাই ১৭ মে ১৯৮১ সালে শুধুমাত্র ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিল না, এদিন ছিল গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।’

ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হবার পর বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন বাংলাদেশে ফিরে আসার প্রত্যয় ঘোষণা করেন, তখন জিয়াউর রহমান নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পরবর্তীতে শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোভাব, তাঁর দেশে আসার প্রত্যয় ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক চাপের কারণে জিয়াউর রহমান তাঁকে দেশে আসতে দিতে বাধ্য হয়েছিল।’

দুঃখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এমনকি দেশে আসার পর শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রক্তে ভেজা ৩২ নম্বর বাড়িতে গিয়ে একটি মিলাদ পড়াতে চেয়েছিলেন, জিয়াউর রহমান সে অনুমতিও দেয়নি। বাধ্য হয়ে রাস্তায় শামিয়ানা টাঙিয়ে মিলাদের ব্যবস্থা করতে হয়েছিল। এমনই জিঘাংসাপরায়ণ ছিল জিয়াউর রহমান। সেদিনের প্রবল বর্ষণে মনে হচ্ছিল, প্রকৃতি বঙ্গবন্ধুকন্যাকে কাছে পেয়ে আনন্দাশ্রু বর্ষণ করছে আর মেঘের প্রচন্ড গর্জনে মনে হচ্ছিল, প্রকৃতি বঙ্গবন্ধু হত্যাকারিদের প্রতি ধিক্কার প্রদর্শন করছে। সেদিন আমরা শ্লোগান দিয়েছিলাম- ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, শেখ হাসিনা, আমরা আছি তোমার সাথে।’

বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ পরিচালনায় জনগণের ম্যান্ডেট পেয়ে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর দেশের মানুষকে, এই জাতিকে আরো সমৃদ্ধ ও মানুষের দুঃখদুর্দশা লাঘব করতে জন্য প্রাণান্তর চেষ্টা এবং দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন।

তাঁর নেতৃত্বে ’৫০ এর দশক থেকে বহুবছরের খাদ্যঘাটতির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, কোনো কোনো বছর খাদ্যে উদ্বৃত্ত। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পন্নোত দেশের তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। মহান ভাষা দিবস ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোলমডেল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কে কতটুকু শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকতে পেরেছি জানি না, কিন্তু গত ৩৯ বছরের পথ চলায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে ছিলেন। তাকে ১৯ বার হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। কোটালিপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করে, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুঁড়েও তাঁকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বারবার মৃত্যুর উপত্যকা থেকে ফিরে এসেও মৃতুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা বিচলিত ও দ্বিধান্বিত হননি। বরং আরো দীপ্তপদভারে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা