• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার ৩৩ বছর, জাতি পেয়েছে অভিভাবক

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১  

আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলার শিকার হতে হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠির রোষানলে পড়েন। ১৯৮৮ সালের এই দিনে (২৪ জানুয়ারি) ২য় বারের মত হামলার শিকার হন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা কখনোই দেশের উন্নয়ন চায় না। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রে সর্বদা লিপ্ত এই অপশক্তি।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি এরশাদ বিরোধী তীব্র আন্দোলনের এক পর্যায়ে ঙ্গবন্ধু কন্যা এবং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের মহাসমাবেশে যান। শেখ হাসিনা যখন সমাবেশ স্থলে যাচ্ছিলেন তখন মুসলিম হাইস্কুল মোড়ে শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে পুলিশ বাধা দেয়৷ তখন উত্তাল জনস্রোতে যেন নেমে আসে রাজপথে। চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের সামনে শেখ হাসিনাকে লক্ষ করে এরশাদ সরকারের পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভাষণদানকালে তাঁকে লক্ষ্য করে ২ বার গুলি বর্ষণ করা হয়। জনসভা বানচাল করতে পুলিশের গুলিতে ৩০ জন নেতা-কর্মী নিহত হন। জনসভা শেষে ফেরার পথে আবারও তাঁর গাড়ি লক্ষ করে গুলি বর্ষণ করা হয়। গুলিবর্ষণের পর আইনজীবীরা মানববেষ্টনি তৈরির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে রক্ষা করে তাকে আইনজীবী সমিতি ভবনে নিয়ে গিয়েছিলেন। এটি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম গণহত্যা নামে পরিচিতি পায়। সেদিন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।

এই হামলার ঘটনায় ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ আইনজীবী শহীদুল হুদা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার রকিবুল হুদাসহ ৪৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টার ৩২ বছর পর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি অভিযুক্ত ৫ জন পুলিশের সদস্যের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছে চট্টগ্রামের একটি বিশেষ আদালত। রায়ে এই হত্যাকান্ডকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলে উল্লেখ করেন।

বর্তমানে বাংলাদেশের দৃশ্যমান উন্নয়নের মূল কারিগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দক্ষতা, বিচক্ষণতায় এবং দূরদর্শী চিন্তায় অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। একদিকে যেমন দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু অন্যদিকে চলছে মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ। ইতিহাসের এই দিন একই সাথে যেমন কলংকিত তেমনি সৌভাগ্যেরও। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিরা শত চেষ্টা করেও দমিয়ে রাখতে পারেনি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে। জাতি অভিভাবক হিসেবে পেয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা