সিটি নির্বাচনের ১৯ ঘণ্টা আগে আবারও ষড়যন্ত্রের বৈঠক ইশরাকের !

সিটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে একের পর বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং তাবিথ আউয়াল।

তারই ধারাবাহিকতায় ভোটের মাত্র ১৯ ঘণ্টা আগে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে যান দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইশরাক হোসেন। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর বার্ন্ট ক্রিস্টেনসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। যেখানে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। গুলশানের বে টাওয়ারে দুপুর ১২টায় থেকে ১২টা ৪৫ পর্যন্ত ওই বৈঠক শেষে ইশরাক হোসেনকে বৈঠকের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তিনি তা এড়িয়ে গেছেন। তিনি শুধু বলেছেন, ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে কি কি শঙ্কা রয়েছে, তার কাছে জানতে চেয়েছেন মার্কিন কূটনীতিক। আমি বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছি।

এমন বাস্তবতায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিটি নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে রাখতে এবং কূটনীতিকদের মাধ্যমে সরকারে বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেয়াই হতে পারে বৈঠকগুলো প্রধান উদ্দেশ্য। এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মহানন্দ সরকার বলেন, এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনকে কেন্দ্র করেও কূটনীতিকদের সঙ্গে এত বৈঠক হতে দেখিনি। পরিস্থিতি মোটেই শুভ বলে মনে হচ্ছে না। বিএনপি বড় কোনো ষড়যন্ত্র করছে বলেই আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্তত ৫টি প্রভাবশালী দেশে যে সমস্ত বাঙালি কর্মকর্তারা কাজ করেন, তাদের বড় একটি অংশ আগে জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এক পর্যায়ে তারা রাজনীতি থেকে সরে দূতাবাসগুলোতে চাকরি নিয়েছেন। এখন তাদের মাধ্যমেই সিটি নির্বাচন ও সরকারকে বিব্রত করতে তৎপর হয়েছে বিএনপি। এতে পর্দার আড়াল থেকে চক্রান্তের পালে হাওয়া দিচ্ছেন ড. ইউনূস।