• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

সুপার ওভারে সর্বনিম্ন সংগ্রহ পাঞ্জাবের, অনায়াসে জিতল দিল্লী

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

আইপিএলের ত্রয়োদশ আসরের দ্বিতীয় দিনে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচটি গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। যদিও সুপার ওভারটা পানসে করে দিয়েছেন দিল্লির বোলার কাগিসু রাবাদা। সেখানে অনায়াস জয় পেয়েছে তারা।

দিল্লি ক্যাপিটালস প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান তোলে। জবাবে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাটে ৮ উইকেট হারিয়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবও ১৫৮ রান করে।

সুপার ওভারে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩ বল খেলতে পারে পাঞ্জাব। রাবাদার প্রথম বলে দুই রান সংগ্রহ করেন রাহুল। পরের দুই বলে রাহুল এবিং পুরানকে আউট করেন রাবাদা। ফলে ৩ বলেই শেষ হয় পাঞ্জাবের সুপার ওভার। দিল্লীর সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৩ রানের। আইপিএলের ইতিহাসে সুপার ওভারে এটিই সর্বনিন্ম সংগ্রহ। দিল্লীর পক্ষে পান্ত আর আইয়ার ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ২ বলেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যান।

এর আগে, আগে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দিল্লী ক্যাপিটালস। তবে অজি ক্রিকেটার স্টোয়নিসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সম্মানজনক পূঁজি পায় তারা। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে শ্রেয়াস আইয়ারের দল।

টস জিতে দিল্লীকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাঞ্জাব কাপ্তান কেএল রাহুল। এরপর বোলিং করতে নেমে দিল্লীর ব্যাটিং অর্ডারে ধস নামান পাঞ্জাবের দুই পেসার শেলডন কটরেল ও মোহাম্মদ সামি। এ দুইজনের বোলিং তোপে ১৩ রান তুলতে ৩ উইকেট হারায় দিল্লী। চতুর্থ উইকেটে দলের হাল ধরেন আইয়ার ও রিশভ পান্ত। এ দুইজন গড়ে তোলেন ৭৩ রানের জুটি। 

তবে ১ রানের ব্যবধানে এই দুইজন আউট হলে ৮৭ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে আবারো বিপদে পড়ে দিল্লী। এরপর ৯৬ রানে ঘটে ষষ্ঠ উইকেটের পতন। ধুঁকতে থাকা দিল্লীর হাল ধরেন স্টোয়নিস। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন তিনি। মাত্র ২১ বলে করেন ৫৩ রান। তার ব্যাট থেকে আসে ৭টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কা।

পাঞ্জাবের পক্ষে মোহাম্মদ সামি ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে কটরলে ৪ ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ২ উইকেট।

দিল্লীর দেয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৩০ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাবের দুই ওপেনার শ্রেয়াস আইয়ার ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ১৯ বলে ২১ রান করে আউট হন আইয়ার।

এরপর ষষ্ঠ ওভারে জোড়া আঘাত হেনে দলকে ম্যচে ফেরান রবিচন্দ্র অশ্বীন। ৫ বলের ব্যবধানে করুণ নায়ার ও নিকোলাস পুরানকে আউট করেন তিনি। উইকেট শিকারের তালিকায় নাম লেখান কাগিসো রাবাদাও। রাবাদা আউট করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। ফলে ৩৫ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে পাঞ্জাব। ৫৫ রানে আরও এক উইকেট হারালে হারের শঙ্কায় পড়ে রাহুলের দল।

একপাশ আগলে রেখে বাকিদের আশা যাওয়ার মিছিল দেখেন আগারওয়াল। দলের বিপর্যয়ে একাই হাল ধরেন তিনি। খেলেন ৬০ বলে ৮৯ রান্র দারুণ এক ইনিংস। দুর্দান্ত এ ইনিংসটি ৭টি চার ও ৪টি ছয়ের সাহায্যে সাজান আগারওয়াল।

স্কোর টাই রেখে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন আগারওয়াল। এরপর শেষ বলে ক্রিস জর্ডান আউট হলে ম্যাচ টাই হয়, গড়ায় সুপার ওভারে। শেষ ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট তুলে নেন স্টোয়নিস।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা