সেনাবাহিনীর দেয়া ঘর ও ত্রাণ পেয়ে খুশি ক্ষতিগ্রস্থরা

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী দূর্যোগ মোকাবেলায় কাজ করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ঝড়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়া ক্ষতিগ্রস্থদের ঘর তৈরি, ত্রাণ সরবরাহ, শুকনা খবার বিতরণ, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, খাবার স্যালাইন ও নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করছেন বাহিনীটি। 

বরিশালস্থ শেখ হাসিনা সেনানিবাসের পক্ষ থেকে জেলার মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার ৪৫টি পরিবারকে এই ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় জেলাগুলোতে নির্মাণ করে দিয়েছে ১৯৮টি ঘর।

মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুরে শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ সাউথখালী গ্রামে ক্ষতিগ্রস্থ খলিলুর রহমান ও পনু হাওলাদারকে টিনশেড ঘর হস্তান্তর করেন ২৮ পদাতিক ব্রিগের কমাণ্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ আল মাসুম। এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাহিদুজ্জামান খান, শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন, ২৮ পদাতিক ব্রিগেডের লেফ্টেন্যান্ট শামস ইয়াসীন খানসহ সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ আল মাসুম শরণখোলার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ পরিদর্শন করেন। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দ্রুত বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে আম্ফানের ঘাঁ শুকাবার আগেই ঘর পেয়ে খুশি ক্ষতিগ্রস্থরা। ঘর পাওয়া খলিলুর রহমান বলেন, আম্ফানে ঘরের চালা ও বেড়া উড়ে গেছে। আজ সেনা সদস্যরা আমাদের ঘর নির্মাণ করে দিলেন। আমরা খুব খুশি হয়েছি।

এর আগে লেফ্টেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ খানের নেতৃত্বে শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন বাজার, গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং গ্রামে গ্রামে মাইকিং করা হয়। গরীব, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে মাস্ক, গ্লোভস, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। 

এসময় জরুরী প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে উৎসাহ প্রদান করেন সেনা সদস্যরা।