• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

সেল্টার মাঠে আবারও হোচট খেলো বার্সেলোনা

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৮ জুন ২০২০  

সেল্টা ভিগোর সাথে ২-২ গোলে ড্র করে স্পেনিশ লা লীগার শিরোপা অক্ষুণ রাখার মিশনে বড় একটি ধাক্কা খেয়েছে বার্সেলোনা। লা লীগার শিরোপার লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সাথে সমান তালে এগিয়ে যেতে থাকা বার্সেলোনা শনিবার রাতে ড্র করে দুই পয়েন্ট নষ্ট করায় তাদের শিরোপা অক্ষুণ রাখা কঠিন হয়ে যাবে। এখন শিরোপা জেতা কেবল তাদের উপর নির্ভর করছেনা। তাদের বাকি সব কটি ম্যাচ জেতার পাশাপাশি পয়েন্ট নষ্ট করতে হবে রিয়ালকেও। রিয়াল আজ খেলবে স্পানিয়লের বিপক্ষে। স্পানিয়লের সময়টা খুবই খারাপ যাচ্ছে। ম্যাচের আগের দিন তারা কোচ বরখাস্ত করেছে। এ ম্যাচে রিয়াল জিতলে বার্সেলোনার চেয়ে দুই পয়েন্টে এগিয়ে যাবে।

সেল্টা ভিগো নিজেদের মাঠে বরাবরই বার্সেলোনার জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ। সেল্টার মাঠ ব্লাইডস-এ ২০১৫ সালের পর লীগে জিততে পারেনি বার্সেলোনা। তাদের তারকা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি এ মাঠে গোল করতে পারেনি ২০১২ সালের পর থেকেই। এ দুটি ব্যর্থতার ধারাবাহিতা বজায় রেখেছে কিকে সেটিয়েনের দল। মেসিও গোল করতে পারেনি, বার্সেলোনাও জয়ী হয়নি। ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারাটাও ভাগ্য বলেই মানতে হবে। তা নাহলে ইনজুরি টাইমে নোলিতো যে মিস করেছেন তার কোন ক্ষমা হয়না। বলতে গেলে হ্যান্ডশেকিং দূরত্ব থেকেও তিনি বল তুলে দেন গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেনের হাতে। নোলিতো এ অবিশ^াস্য মিস না করলে সেল্টা জিততে পারতো ৩-২ গোলে। বার্সেলোনা ম্যাচে দুইবার এগিয়ে গিয়েও তা ধরে রাখতে পারেনি। তাদের রক্ষণভাগ ছিল একেবারে নড়বড়ে। ডেনিস সুয়ারেজ এবং ইয়াগো আসপাসকে আটকে রাখার ক্ষমতা ছিলনা জেরার্ড পিকে এবং উমতিতিদের। বার্সেলোনার দুটি গোলই করেন লুইস সুয়ারেজ। দুটি গোলের সুযোগই তৈরী করে দেন লিওনেল মেসি। সুয়ারেজ দুটি গোলই করেছেন হাফ চান্স থেকে। দুরন্ত ফিনিশিং এগিয়েদিয়েছিল বার্সেলোনাকে। ২০ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রি কিক গোলমুখে ফেলেন মেসি। সেটি হেডে জালে পাঠাতে ভুল করেননি লুইস সুয়ারেজ। গোল খাওয়ার পর সেটি পরিশোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে আক্রমণ করতে থাকে সেল্টা ভিগো। তারা বেশ কয়েকবার সুযোগও তৈরী করে। কিন্তু টার স্টেগেনের দৃঢ়তায় গোল হচ্ছিলনা। বার্সেলোনা ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায়। বিরতির পরই পরিস্থিতি বদলে যায়। একটি কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোল করে ৫০ মিনিটে সমতা ফেরায় সেল্টা। মাঝ মাঠ থেকে পাওয়া লম্বা পাস ধরে গতিতে জেরার্ড পিকেকে পেছনে ফেলে গোল মুখে স্কয়ার পাস দেন আসপাস। সেটি ট্যাপ করে জালে পাঠান ফেডর স্মলভ।

এ গোলের পর আবার বার্সেলোনা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় শামিল হয়। তাদের চেষ্টা সফল হয় ৬৬ মিনিটের মাথায়। একটি সম্মিলিত আক্রমণ থেকে গোলমুখে জটলা বাধে। সেখানে বল পেয়ে দারুনভাবে ঘুরে শট নিয়ে বার্সেলোনাকে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে দেন লুইস সুয়ারেজ। এই গোলের পর থেকে খেলার শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার উপর চাপ সৃষ্টি করে সেল্টা। ফলে মনে হতে থাকে যে কোন সময় হয়তো সমতা ফিরে আসতে পারে। বিশেষ করে বার্সেলোনার সাবেক তিন খেলোয়াড় আসপাস, রাফিনহা এবং ডেনিস সুয়ারেজ হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। একের পর এক আক্রমণ গড়ে বার্সেলোনার রক্ষণভাগকে বেশ চাপে ফেলে দেন তারা। এমনই একটি আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে পেনাল্টি বক্সের ঠিক বাইরে প্রতিপক্ষের একজনকে ফাউল করে বসেন পিকে। ফ্রি কিক পায় সেল্টা। বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা সামনে দেয়াল গড়েন। কিন্তু আসপাস এমনভাবে বাকানো শট মারেন যা কারুর পক্ষেই থামানো সম্ভব ছিলনা। গোলরক্ষক টার স্টেগেন তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেন তার পোস্টে বল যাচ্ছে। ৮৭ মিনিটের এ গোল ম্যাচে পুনরায় সমতা ফেরায়। তখন ধরেই নেয়া হচ্ছিল ম্যাচটি ড্র হতে যাচেছ। কিন্তু পূর্ণ পয়েন্টের আশায় বার্সেলোনা অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে তৃতীয় গোল খাওয়ার উপক্রম করে। নোলিতো অবিশ^াস্য মিস না করলে হয়তো স্বাগতিকরা জিততেও পারতো। বার্সেলোনা জিততে পারেনি। কিন্তু সেল্টার মাঠ যে তাদের জন্য অপয়া তা আরও একবার প্রমাণ হয়েছে। ওয়েবসাইট।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা