• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

হঠাৎ অগ্নিদগ্ধ হলে ততক্ষণাৎ যা করবেন

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০  

প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় নানা কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। বাড়িঘর, কারখানা, রেস্টুরেন্ট, অফিস এমনকি মসজিদ কোথাও নিরাপদ নন আপনি। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার স্বীকার হতে পারেন। গ্যাস সিলিন্ডার বা এয়ার কন্ডিশনার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হতে পারেন যে কেউ।  

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই দ্রুত কিছু ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। কারণ প্রাথমিক অবস্থায় কিছু ভুলের কারণে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এই ব্যাপারে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। জেনে নিন সেসব-

আগুন নেভান

শুরুতে শরীরে লাগা আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করুন। ভারী কাঁথা বা কম্বল গায়ে চেপে ধরুন। হাতের কাছে এসব না থাকলে মাটিতে গড়াগড়ি দিন।  

প্রচুর পানি ঢালুন

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, আগুনে পোড়ার প্রথম আধাঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় রোগীর শরীরে যতটা সম্ভব পানি ঢালুন। এতে করে পোড়ার পরিমাণ কমানো যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বলছে, ঠান্ডা পানি দিয়ে দগ্ধস্থান অন্তত ২০ মিনিট ধরে ধুতে হবে। তবে বরফ, বরফ শীতল পানি, কোনো ধরনের ক্রিম, তৈলাক্ত পদার্থ ও মাখন দগ্ধস্থানে ব্যবহার করবেন না।

ক্ষতস্থান খোলা রাখুন

পানি ঢালার ফলে রোগীর হাইপোথারমিয়া হতে পারে। তাই কম্বল দিয়ে জড়িয়ে নিতে পারেন। তবে দগ্ধস্থানে যাতে কোনো ধরনের কাপড় লেগে না থাকে। সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। 

পোশাক ও গহনা খুলে ফেলুন

শরীরে আগুন লাগলে যত দ্রুত সম্ভব পরনের পোশাক ও গহনা খুলে ফেলুন। শিশুদের ক্ষেত্রে ন্যাপি বা ডায়াপার থাকলে আগে তা খুলুন। তবে পোড়া চামড়া বা পেশীর সঙ্গে কোনো ধাতব পদার্থ বা কাপড়ের অংশ আটকে গেলে সরানোর চেষ্টা করবেন না। এতে ক্ষত বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।

দ্রুত হাসপাতালে যান

আগুনে পোড়ার প্রথম ২৪ ঘণ্টা খুবই জরুরি। যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে যান। এতে দগ্ধের মৃত্যুঝুঁকি থাকলে অনেকটাই কমানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্যালাইন দেয়ার কারণে যে উপকার হয়, পরে সেটি হয় না। কারণ সময় চলে গেলে তিন থেকে লিটারের বেশি স্যালাইন দেয়া যায় না। ফলে এ ২৪ ঘণ্টাকে পোড়া রোগীর জন্য গোল্ডেন আওয়ার বলা হয়। 

যে কাজগুলো ভুলেও করবেন না    

দগ্ধস্থানের উপর টুথপেস্ট, লবণ বা ডিমের সাদা অংশ দেবেন না। এতে পরবর্তীতে সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর এগুলো পরিষ্কার করতে হয়। তখন এগুলো জমাট বেঁধে থাকায় চামড়া ওঠার আশঙ্কা থাকে। ক্ষত আরো গভীর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যদি মুখ বা চোখ পুড়ে যায়, তাহলে যতক্ষণ সম্ভব রোগীকে সোজা করে বসিয়ে রাখুন। এতে ফোস্কা পড়া বা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।  

যতটা পারেন তরল খাওয়ান

আগুনে পোড়া রোগীকে যতটা সম্ভব তরল খাবার দিতে হবে।স্যালাইন দেয়া সম্ভব না হলে মুখে অন্তত স্যালাইন, ডাবের পানি বা তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাওয়ান। এছাড়া ক্যালরি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার, যেমন- ডিম বা মুরগি খাওয়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা