• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

হাতেগোনা বেসরকারি হাসপাতালে চলছে করোনা চিকিৎসা

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০২০  

রিজেন্ট হাসপাতালের মতো হাতেগোনা দু’একটি বেসরকারি হাসপাতালে দেয়া হচ্ছে করোনার চিকিৎসা। যেখানে সাধারণ ওয়ার্ডের পাশাপাশি রয়েছে সীমিত আইসিইউ শয্যা। তবে দেখা মেলেনি কোনো রোগীর।

এবারে চোখ ঘোরানো যাক, রাজধানীর বড় বড় হাসপাতালগুলোর দিকে। সরেজমিনে দেখা যায়, এসব জায়গায় রোগীর সংখ্যা নেমেছে অর্ধেক বা এক তৃতীয়াংশে। এই বাস্তবতার সঙ্গে করোনার আতঙ্কে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের আনাগোনাও পাল্লা দিয়ে কমছে হাসপাতালগুলোতে। স্বেচ্ছায় বা সরকারের নির্দেশে করোনার প্রস্তুতি না নিলে সেবাদানকারীদের হাসপাতালে ফেরানো কঠিন হবে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজীর আহমদ বলেন, সরকারের উচিত তাদের জন্যে সহায়ক পরিবেশটা তৈরি করা। তাদেরকে যদি মেডিকেল কিট দেয়া যায় তবে তারা সাপোর্ট দিবে। 

প্রাইভেট হাসপাতাল অ্যাসোসিয়েশন বলছে, সরকার করোনা চিকিৎসার নির্দেশ দিলে তাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা ও ইন্সুরেন্সের দাবি করা হবে। 

বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মঈনুল আহসান বলেন, সরকার যদি আমাদেরকে ওই রকম নির্দেশ দেয় তবে আমরা না করতে পারবো না। ডাক্তারদেরকেও সরকারের তরফ থেকে একটা হেলথ ইন্সুরেন্স দিতে হবে। 

এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতোমধ্যে প্রস্তুতি হিসেবে বেসরকারি হাসপাতালের মালিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন, যখন আমদের প্রয়োজন পড়বে তখন আমরা বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে যুক্ত করবো। ঢাকার মধ্যে ইতোমধ্যে সেটা করেছি। প্রয়োজন হলে ঢাকার বাইরেও করবো। 

বছরব্যাপী দেশের ষাট শতাংশের বেশী মানুষ চিকিৎসা নিয়ে থাকেন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। এই দুর্যোগেও পরিস্থিতি খারাপ হবার আগেই বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত হবার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা