• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

হেলিকপ্টারে করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মাঝে ত্রাণ দিল সেনাবাহিনী

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২০  

বান্দরবান পার্বত্য জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারে করে তিনশ ৬০টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের জন্য সরকারি ত্রাণ পৌঁছে দিল সেনাবাহিনী। স্থানীয় হেডম্যান, কারবারি ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

জানা যায়, খেটে খাওয়া দিনমজুর এবং প্রান্তিক জনগণের জন্য সরকারি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছায় বান্দরবান পার্বত্য জেলাতে। কিন্তু বান্দরবান জেলার রুমা ও থানচি উপজেলার কতিপয় ইউনিয়ন দূর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় এবং সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় সরকারি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছিল না। এ প্রেক্ষিতে বান্দরবান জেলা প্রশাসন এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ওই সমস্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য বান্দরবান সেনা রিজিয়নের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর নিকট সহযোগিতা চায়। এমন অবস্থায় সেনাবাহিনী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের (চট্টগ্রাম সেনানিবাস) সার্বিক সহযোগিতা ও তত্বাবধানে ‘আর্মি এভিয়েশন’র একটি বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় ৩,৭২০ কেজি ওজনের ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।

ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, লবণ ও সাবান। এসব ত্রাণ সামগ্রী বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা এবং থানচি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ম্রো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ৩৬০টি পরিবারের মাঝে স্থানীয় হেডম্যান, কারবারি ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। এ সময় বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খন্দকার মো. শাহিদুল এমরান, মেজর ইফতেখারসহ স্থানীয় হেডম্যান এবং ওই সকল পাড়ার কারবারিগণ উপস্থিত ছিলেন।

বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন-এই মূল মন্ত্রকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্রগ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে সন্ত্রাস দমন অভিযানের পাশাপাশি স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানসহ সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনী অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম সেনাবাহিনীর এই দ্রুত সহযোগিতার ব্যাপারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে গিয়ে বলেন, দূর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আমরা ওই সমস্ত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারছিলাম না। বিষয়টি বান্দরবান সেনা রিজিয়নকে অবহিতপূর্বক অনুরোধ করার পর তারা দ্রুততম সময়ে হেলিকপ্টারযোগে দূর্গম ওই এলাকাগুলোতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। আমি এই জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা