• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বিনাদোষে কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েও বাড়ি ফেরেননি সজল

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০১৯  

বিনাদোষে দেড় মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেয়ে এখনও নিজের বাড়ি ফেরেননি রাজশাহীর ডাব বিক্রেতা সজল মিয়া (৩৪)। গত ১২ মে রাতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই তিনি জেলার পবা উপজেলার ভুগরইল গ্রামে বোনের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

এদিকে, আসামি না হওয়া সত্ত্বেও সজলকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তা জানাতে রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজকে আদালত সাতদিন সময় বেঁধে দিলেও পুলিশের এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন,গতকাল  সকাল পর্যন্ত তিনি আদেশের কপি পাননি।

ওসি বলেন, যেদিন আদালতে আদেশ হয় সেদিন ছিল বুধবার। এরপর একদিন ছিল কর্মদিবস। পরে দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি। এ কারণে হয়তো তিনি আদালতের আদেশের কপি পাননি। তবে ব্যাখা দিতে তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে- এ খবর তিনি খবরের কাগজে পড়েছেন। আর আদালতের আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর তার সাতদিন শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

আদালতে কী ব্যাখা দেবেন, জানতে চাইলে ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, আসামি ১০ বছর ধরে পলাতক। তাকে তো আমি চিনি না। সজলকে গ্রেপ্তারের পর মামলার দুই সাক্ষী তাকে শনাক্ত করেন। এফিডেভিট করে তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই এফিডেভিটসহ সজলকে আদালতে তোলা হয়। আদালত সবকিছু অবহিত হয়েই তাকে কারাগারে পাঠান। আমি এই ব্যাখাই দেব।

সজল মিয়া রাজশাহী মহানগরীর ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া মহল্লার তোফাজ উদ্দিনের ছেলে। সজলের বড় ভাই সেলিম ওরফে ফজল একটি মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। ২০০৯ সালে মামলার রায় ঘোষণার আগে থেকেই তিনি পলাতক। গত ৩০ এপ্রিল সজলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে ফজল হিসেবে উপস্থাপন করে পুলিশ।

এরপর গত ২৬ মে আইনজীবীর মাধ্যমে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে নিজের মুক্তির আবেদন করেন সজল। গত ১২ মে শুনানি শেষে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (প্রথম) বিচারক মো. মনসুর আলম সজলকে মুক্তির আদেশ দেন। এরপর রাতেই তিনি কারাগার থেকে বের হন।

স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর ছোটবনগ্রাম পশ্চিমপাড়া মহল্লায় বোন পিয়ারির বাড়ির পাশেই বাড়ি করে থাকেন সজল। যোগাযোগ করা হলে গতকাল  দুপুরে পিয়ারি জানান, সজল জেল থেকে বের হয়েই পবা উপজেলার ভুগরইল গ্রামে তার আরেক বোনের বাড়িতে থাকেন। এখনও বাড়ি ফেরেননি। তবে কেন বাড়ি ফেরেননি তা বলতে পারেননি পিয়ারি।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা