• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

সৌরবিদ্যুৎ : দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্পের কাজ শেষের পথে

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

ময়মনসিংহ জেলা শহরের অদূরে ব্রহ্মপুত্র নদের সুতিয়াখালির চরাঞ্চলে দেশের সর্ববৃহৎ (৫০ মেগাওয়াট) সৌরবিদ্যুত প্রকল্পের ৮৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে এ প্রকল্পে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে উৎপাদন বিলম্বিত হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

২০১৭ সালে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের যৌথ উদ্যোগে এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেড ১৭৪ একর জমির ওপর ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এ প্রকল্পের কাজ শুরু করে।

ইতিমধ্যে নদী শাসন বাঁধ ও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ এবং সোলার প্লেট বসানোর পিলারসহ যাবতীয় কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এসব কাজে নিয়োজিত চীনা প্রকৌশলীরা ইংরেজি নববর্ষের ছুটিতে দেশে যাওয়ায় প্লেট বসানো ও সংযোগ প্রদানের কাজ বন্ধ আছে।

সরেজমিন দেখা যায়, প্রকল্প এলাকাজুড়ে সোলার বসানোর পিলারসহ যাবতীয় কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প এলাকা থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনের কাজ চলছে পুরোদমে।

এখন শুধু সোলার প্লেট বসানোর কাজ বাকি আছে। প্রকল্পে নিয়োজিত চীনা প্রকৌশলীরা ছুটিতে দেশে যাওয়ায় সোলার প্লেট বসানো ও সংযোগ প্রদানের কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে।

এইচডিএফসি সিনপাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক শেখ শফিকুল ইসলাম জানান, সরকারের সব নিয়মনীতি অনুসরণ করে প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার জানান, এখানে কোনো ফার্নেস ওয়েল বা ফুয়েল লাগবে না।

সূর্যের আলো থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এটাই সোলার প্রযুক্তির মূল বৈশিষ্ট্য। প্রকল্প পরিচালক ও পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ জানান, এখানে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎ ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালী জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

প্রকল্প থেকে জাতীয় গ্রিডের দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। এর মধ্যে এক কিলোমিটার যাবে টাওয়ারের মাধ্যমে। বাকি চার কিলোমিটার যাবে মাটির নিচ দিয়ে।

১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রকৌশলীদের সঙ্গে বিদেশি প্রকৌশলীরাও নিয়োজিত রয়েছেন।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা