• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

এখনো অভিনয়ের ক্ষুধা মরে যায়নি’

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০১৯  

জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রী ঈশিতা। একইসঙ্গে সংগীতশিল্পী হিসেবেও এই পর্দাকন্যার বেশ পরিচিতি রয়েছে। এবার ঈদে প্রকাশ হয়েছে ঈশিতার ‘আমার অভিমান’ শিরোনামের একটি গান। লূৎফর হাসানের কথা ও সুরে এই গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন মার্সেল। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন মঞ্জু আহমেদ। এ প্রসঙ্গে ঈশিতা বলেন, গানটি থেকে বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। এই গান যে এত অল্প সময়ে শ্রোতা-দর্শকের মাঝে ভালো সাড়া ফেলবে বুঝতে পারিনি। যারা এ গানের সঙ্গে জড়িত তাদের সবার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

গানের কথা, সুর, সংগীত এবং ভিডিও নির্মাণে দারুণ ভিন্নতার ছাপ রাখা হয়েছে। আসল কথা হলো সম্মিলিতভাবে অনেকে যখন ভালো কাজের চেষ্টা করেন, তখন সে চেষ্টা বৃথা যায় না। অগণিত ভক্তের সাড়া পাওয়ার মধ্য দিয়ে এ কথাই সত্যি বলে প্রমাণ হয়েছে। এর আগে গেল অক্টোবরে ঈশিতা ‘তোমার জানালায়’ শিরোনামের একটি গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ করেন। সোহেল আরমানের কথায় গানটির সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন ইবরার টিপু। 

প্রায় ষোল বছর পর এই গানের মধ্য দিয়ে তিনি সংগীতে ফেরেন। এদিকে এই অভিনেত্রী এবারের ঈদে ‘ভালো  থেকো ফুল’ শিরোনামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন বলেও জানান। এ চলচ্চিত্রের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত হলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে ঈশিতা বলেন, এবারের আগের ঈদে ‘পাতা ঝরার দিন’ নাটকের পর বেশ কিছুদিন পর্দায় আমাকে দেখা যায়নি। এ বিরতিকালীন বারবার মনে হচ্ছিল, দর্শক কি আমাকে ভুলে যেতে বসেছেন? এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি স্ক্রিপ্ট হাতে পেয়েছিলাম। কিন্তু কাজ করার সুযোগ হয়নি। কারণ একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষকতা ও ব্যক্তিগত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যস্ত থাকতে হয় আমাকে। এ ছাড়াও পরিবারকে সময় দিতে হয়। সত্যি বলতে এখনো অভিনয়ের ক্ষুধা মরে যায়নি। তাই ‘ভালো থেকো ফুল’-এর গল্পটি ভালো লাগায় না করিনি। এ ছাড়া এই ইউনিটের বেশিরভাগই পূর্বপরিচিত ছিল। ‘পাতা ঝরার দিন’-এ কাজ করার সময় থেকেই তাদের সঙ্গে আমার বোঝাপড়া দারুণ। এ ছাড়া নির্মাতা ফরহাদ শাহী যখন প্রজেক্টটি নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেন তখন মনে হয়েছিল, একজন নির্মাতা কিংবা তার ইউনিটের লোকজনের কাজের প্রতি যে ধরনের ভালোবাসা কিংবা দায়বদ্ধতা থাকা দরকার, তার পুরোটাই তারা বহন করেন। তাই এতে কাজ করতে উৎসাহ পেয়েছি। একইসঙ্গে অভিনয় ও সংগীতে একজন শিল্পী কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে?  অভিনয়ের ক্ষেত্রে সংগীত কোনোভাবে প্রভাব ফেলে? ঈশিতার ভাষ্য, অবশ্যই। অভিনয় ও সংগীত পরস্পরের পরিপূরক। 

অভিনয় করতে গেলে ইমোশন লাগে, তাল, সুর, লয় লাগে। এ সবই তো সংগীত থেকে নিতে হয়। মিউজিক ইজ মাস্ট ফর অ্যাক্টিং। একটু খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন, সব অভিনয় স্কুলেই কিন্তু গান শেখার ব্যবস্থা রয়েছে। গানের মধ্যে এক ধরনের ভিজ্যুয়াল বিষয় আছে। টিভি মিডিয়ার অনেকে এখন অনলাইন মাধ্যমেও অভিনয় করছেন। এ প্রবণতা আপনার কাছে কতটা ইতিবাচক মনে হয়? ঈশিতা বলেন, সময়ে সব বদলে যায়। সেই ধারাবাহিকতায় অনলাইনে প্রচুর কাজ হচ্ছে। তবে আমরা যেন কাজের মানটা ঠিক রাখি। সেটা সব মাধ্যমের জন্যই জরুরি। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যেন অনলাইনেও বজায় থাকে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি যেন হারিয়ে না যায়। শোবিজে নিয়মিত কাজ করবেন কিনা এ নিয়েও কথা বলে ঈশিতা। ভালো গল্প পেলে হয়তো আগামীকালই নতুন কোনো প্রজেক্টে তাকে দেখা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর যদি না পান তাহলে আগামী এক বছরেও পর্দায় তাকে দেখা যাবে না বলে জানান। 

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা