• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি? জেনে নিন কমানোর কৌশল

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৩  

শিশুরা কখনও পড়াশোনা কিংবা গেম খেলার জন্য আবার কখনও ইউটিউব দেখার জন্য ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকছে। ফলে এর কুপ্রভাব পড়ছে তাদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর।

এ জন্য মা-বাবাও অনেকখানি দায়ী। নিজেদের ব্যস্ততার সময়ে হয়তো চিন্তাভাবনা না করেই শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্মার্টফোন। দিনে দিনে সেই যন্ত্রই হয়ে উঠেছে শিশুটির বন্ধু।

বকুনি দিয়ে কিংবা মেরে শিশুকে শাসন করবেন না কিংবা তার কাছ থেকে স্মার্টফোন কখনো কেড়ে নেবেন না। বুঝিয়ে যত্ন সহকারে তার মধ্যে অন্য কাজের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে। শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। জেনে নিন সেসব-

কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: শিশুর হাতে যে ডিভাইস দিচ্ছেন তাতে কঠিন পাসওয়ার্ড সেট করুন। এতে আপনি ছাড়া সে মোবাইল ফোন বা ডিভাইসের লক খুলতে পারবে না। ফলে যখন তখন আপনার অজান্তে মোবাইল ফোন ব্যবহারও করতে পারবে না।

ঘরে খেলার ব্যবস্থা করুন: শিশুর জন্য ঘরেই খেলার পরিবেশ তৈরি করে দিন। এতে শিশু বাইরে যেতে না পারলেও ঘরেই নিজের মতো খেলতে পারবে।

সময় বেঁধে দিন: এই সময়ে প্রযুক্তি থেকে শিশুদের দূরে রাখা বাস্তবসম্মত নয়। দক্ষ করে গড়ে তুলতেও শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত। কার্টুন দেখা, গেম খেলা-শিশুদের খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তাকে সময় বেঁধে দিন। সময় শেষে তাকে বুঝিয়ে যন্ত্রটি সরিয়ে আনুন। এতে তার মধ্যে যেমন সময়ানুবর্তিতা তৈরি হবে, তেমনি পর্দার প্রতি আসক্তিও কমে আসবে।

শিশুকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুন: ছবি আঁকা, নতুন কিছু বানানো বা গাছের পরিচর্যা করতে উৎসাহিত করুন শিশুকে। বাড়ির আশেপাশে পার্ক থাকলে বিকেলে শিশুকে নিয়ে ঘুরতে যান। ঘরের কাজেও তাদেরকে সাহায্য করতে বলতে পারেন।

শিশুর সঙ্গে প্রচুর কথা বলুন: শিশুর হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে বরং ঐ সময়ে আপনি নিজে গল্প করুন তার সঙ্গে। গল্প বলা, বই পড়ে শোনানো, কবিতা বলা বা গান গেয়ে শোনানোর মতো কাজগুলো করলে যেমন শিশুর বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত হবে, তেমনি মোবাইল আসক্তিও কমে যাবে।

উপহার হিসেবে স্মার্টফোন নয়: অনেক অভিভাবকই সন্তানকে কোনো কাজের প্রণোদনা হিসেবে স্মার্টফোন উপহার দিতে চান। এতে শিশুটি নিজের কাজে মনোযোগী হয় ঠিকই, তবে ভবিষ্যতে শিশুটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা