• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা? সমাধান মিলবে যেসব খাবারে

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর ২০২৩  

বর্তমানে ছোট থেকে বড়; প্রায় সবারই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে। মূলত আমাদের খাদ্যাভাসের কারণেই এ সমস্যা হয়।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে আমাদের পেট ফুলে থাকে। ক্ষুধা লাগে না, এমনকি কিছু খেতেও ইচ্ছা করে না। মনে হয় পেট ভরা আছে। তবে খাবার না খাওয়ায় শরীর দুর্বল লাগে।

আর এ সমস্যা দূর করতে আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। এতে সাময়িক ভাবে ভালো লাগলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে। তাই চলুন জেনে নিই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধানে যেসব খাবার উপকারী-

কলা: আমরা সবাই কমবেশি কলা খায়। মূলত সকালে নাশতার টেবিলে বেশি দেখা যায় কলা। আর পেটের গ্যাস দূর করতে কার্যকরী ফল কলা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসেবে কাজ করে। তাই চেষ্টা করুন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে একটি কলা খেতে। এটি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দ্রুত কমিয়ে আনবে।

আদা অথবা আদা চা: আদার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। এর অন্যতম উপকারিতা হলো এটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সহয়তা করে। মূলত আদা খাবার দ্রুত হজ করতে কাজ করে। খাবার খাওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে আদা কুচি বিট লবণ দিয়ে খেলে উপকার পাবেন। অথবা এক টুকরো তাজা আদার মূল পানিতে ফুটিয়ে আদা চা তৈরি করতে পারেন। আদার মধ্যে উপস্থিত প্রধান উপাদান হলো জিঞ্জেরল যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আদা কিংবা আদা চা খাবার খাওয়ার আগে খেলে গ্যাসে পেট ফুলে থাকার সমস্যায় ভুগতে হবে না।

মৌরি: মৌরি খুব দ্রুত গ্যাসের ব্যথা কমাতে কাজ করে। সে কারণে খাওয়ার পরে মৌরি চিবিয়ে খেতে হবে। এতে অ্যাসিড হওয়ার কোনো ভয় থাকে না। এ ছাড়া রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পরিষ্কার পানিতে মৌরি ভিজিয়ে ঢেকে রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে পানিটুকু ছেঁকে নিন। এবার সেই পানি খালি পেটে পান করুন। সারাদিন আর গ্যাসের সমস্যা হবে না। পেটও ফুলে থাকবে না।

তুলসী পাতা: আমাদের পাকস্থলীতে শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ উৎপাদন করে তুলসী পাতা। তাই তুলসী পাতার উপকার পেতে হলে নিয়মিত খেতে হবে এটি। চেষ্টা করুন সকালে চায়ের মধ্যে ২/৩টি পাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে সে চা পান করতে। এতে দারুন উপকার পাবেন।

ঠান্ডা দুধ: এক গ্লাস ঠাণ্ডা, চর্বিহীন এবং চিনিহীন দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সময় অনুভূত জ্বালাপোড়া থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া যায়। দুধে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা কেবল অ্যাসিডকে নিরপেক্ষ করে না বরং এর উৎপাদনকেও বাধা দেয়।

চিয়া বীজ: চিয়া বীজে রয়েছে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য। যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের উপসর্গের চিকিৎসায় সাহায্য করে। এ ছাড়াও এটি ফাইবার এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এগুলি ঠান্ডা পানীয়, স্মুদি, ফলের রস, দই, পোরিজ, পুডিং ইত্যাদিতে যোগ করা যেতে পারে (পানিতে ভিজিয়ে রাখার পরে)। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা