• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

লাবণ্যময় ত্বকের জন্য সিরাম

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০২৩  

প্রতিটি মানুষই নিজকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে চায়। তাই নারী-পুরুষ প্রত্যেকেরই তার মুখের প্রতি থাকে বিশেষ মনোযোগ। শরীরের অন্যান্য অঙ্গের চেয়ে মুখের যত্নে সময় এবং শ্রম দুটোই বেশি দেয়া হয়। বর্তমান সময়ের তরুণ-তরুণীরা রূপচর্চায় খুবই সচেতন। ত্বকের সাধারণ যেসব যত্ন নেয়া হয় সেগুলো এখন প্রায় রুটিনে বাধা হয়ে গেছে। ত্বকের যত্নে করা তিনটি পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজিং। এসবের পাশাপাশি ত্বকের যত্নে আরও যোগ করা যায় ‘সিরাম’। ইদানীং ত্বকের যত্নে সিরাম খুবই জনপ্রিয় একটি প্রসাধনী। ত্বকের ধরন ভেদে আলাদা আলাদা উপাদানে তৈরি সিরাম ত্বকের যত্নে বেশ কার্যকরী। কড়া নাড়ছে শীত। ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি যত্ন চাইছে। শীতের দিনে ত্বক তার স্বাভাবিক লাবণ্য হারিয়ে হয়ে পড়ে শুষ্ক। ত্বককে ভেতর থেকে আর্দ্র ও সজীবতা বজায় রাখতে এবং শুষ্ক ত্বকের যত্নে সিরাম কাজে আসে। তবে সিরাম মাখলেই ত্বকের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। কোন ত্বকের জন্য কি ধরনের সিরাম প্রয়োজন, তা-ও জানা দরকার। সিরাম কেনার সময়ে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে আপনিও আপনার ত্বকের উপযোগী সিরাম কিনতে পারবেন।

প্রথমত সিরাম নির্বাচনে বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। যেহেতু সিরামের মধ্যে সব যৌগ সক্রিয়ভাবে থাকে, তাই চাইলেই যে কোনো বয়সে, যে কোনো সিরাম ব্যবহার করা যায় না। তাতে সমস্যা কমার বদলে বেড়ে যায়। ২০ বছর পর্যন্ত বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে কোনো প্রকার সিরাম ব্যবহার না করাই উত্তম। এ ক্ষেত্রে ক্লিনজিং, টোনিং আর ময়েশ্চারাইজিং করলেই হবে। সিরাম ব্যবহারের সময়ে পরিমাণ নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে। খুব বেশি মাত্রায় সিরামের ব্যবহার ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। ত্বকের ভিন্নতা অনুযায়ী উপযোগী সিরাম নির্বাচনে সহায়ক হতে পারে এসব টিপস-

স্বাভাবিক ত্বক: এই ধরনের ত্বকে স্বাভাবিক অবস্থা বজায় থাকে সবসময়ই। নরম আর মসৃণ থাকে সারা বছরজুড়ে। তবে ঋতুভেদে যত্নের অভাবে ত্বক হয়ে উঠতে পারে শুষ্ক ও রুক্ষ। যেসব সিরাম সব ধরনের ত্বকের জন্য প্রযোজ্য, সেসব সিরাম নির্দ্বিধায় ব্যবহার করা যাবে স্বাভাবিক ত্বকে। তবে রেটিনল আর ভিটামিন ‘সি’ সম্পন্ন সিরাম ব্যবহার করাই বেশি ভালো। কেননা, দুটি উপাদানই বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে এবং ত্বকের তারুণ্য ও লাবণ্য বজায় রাখতে দারুণ কাজ করে। আর ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতেও সহায়ক।

শুষ্ক ত্বক: রুক্ষ, খসখসে এবং অমসৃণ ত্বক মানেই ড্রাই স্কিন বা শুষ্ক ত্বক। আর্দ্রতার অভাবে শুষ্ক ত্বক বিবর্ণ ও নিষ্প্রাণ দেখায়। আর শুষ্ক থাকার ফলে ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এই ধরনের ত্বকের যত্নে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং গ্লিসারিন সম্পন্ন সিরাম অত্যন্ত কার্যকরী। গ্লিসারিনের কারণে এটি শুষ্ক ত্বকে দ্রুত শুষে যাবে। আবার তেমনই, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড স্কিনকে হাইড্রেট রাখতে এবং রিঙ্কেলস দূর করতে সাহায্য করবে।

মিশ্র ত্বক: মূলত অয়েলি এবং ড্রাই স্কিন, এই দুটো ধরন মিলেই মিশ্র ত্বক। যেসব ত্বকের কপাল, নাক এবং থুঁতনি খুব সহজেই অয়েলি হয়ে যায় অথচ চেহারার বাকি অংশ শুষ্কই থাকে তাকে মিশ্র ত্বক বলা যায়। যেহেতু মিশ্র ত্বকে শুষ্ক এবং তৈলাক্ত দুটি ভাবই বজায় থাকে, সেহেতু এমন একটি উপাদান ব্যবহার করা উচিত যা দুটি অবস্থাতেই সমানভাবে ত্বকের স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য বজায় রাখে। আর রেটিনল হচ্ছে কম্বিনেশন স্কিনের জন্য একদম পারফেক্ট। কারণ এটি ত্বককে অতিরিক্ত তৈলাক্তও করে না আবার একদম শুষ্কও করে ফেলে না। বরং এটি মিশ্র ত্বক থেকে রিঙ্কেলস আর বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বককে করে উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়।

একনি প্রোন স্কিন: একনি প্রোন স্কিনে মূলত ব্রণ একটি আতঙ্কের নাম। কারণ পোরসগুলো বন্ধ হয়ে স্কিনে ব্রেকআউট দেখা দেয়। ফলে ত্বকে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডসের মতো নানান সমস্যা দেখা দেয়। যেহেতু একনি প্রোন স্কিনে পোরস বন্ধ করাটা জরুরি তাই পোরস মিনিমাইজ করে এমন সিরাম ব্যবহার করা উত্তম। এছাড়াও, স্যালিস্যালিক অ্যাসিড সম্পন্ন সিরাম ব্যবহারে ত্বকের সব ইমপিউরিটিস দূর হয়।

সব ধরনের ত্বকেই কিছু সাধারণ সমস্যা দেখা দেয়। যেমন- কালো দাগ, ব্রণের দাগ ও ক্ষত, স্ট্রেচ মার্ক, মেছতা, মেছতার দাগ ইত্যাদি। সাধারণত এসব দূর করা যায় না। তবে কমিয়ে আনা যায়। এক্ষেত্রে এমন সিরাম ব্যবহার করুন যেগুলোতে নিয়াসিনামাইড, আরবুটিন এবং ভিটামিন সি রয়েছে। উপাদান এবং নিয়ম মেনে ত্বকের যত্নে সিরামের ব্যবহার ত্বককে করে তুলবে উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময়।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা