• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বাংলাদেশ থেকে বাল্যবিবাহ দূরীকরণে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২১  

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বাল্যবিবাহ দূরীকরণে বদ্ধপরিকর। সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি সংস্থা, বেসরকারি খাত এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সবাইকে এটি বাস্তবায়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা- ইউএসএআইডি আয়োজিত ‘বাংলাদেশে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক ক্যাম্পেইনের জুম অনলাইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সচিব করোনাকালে দেশে বৃদ্ধি পাওয়া বাল্যবিয়ের সংখ্যা হ্রাস করতে সময় উপযোগী এ ক্যাম্পেইন শুরু করার জন্য ইউএসএআইডি’র উজ্জীবন এসবিসিসি প্রকল্পটিকে সাধুবাদ জানান।

ইউএসএআইডি’র উজ্জীবন এসবিসিসি প্রকল্পটি জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস দ্বারা বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে পরিবারগুলোকে বাল্যবিয়েতে নিরুৎসাহিত করতে এবং প্রতিটি কন্যাশিশুর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের জন্য পারিবারিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ নিরসনে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) বাস্তবায়নের পদক্ষেপ আরো গতিশীল হবে।

সচেতনতামূলক এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের কারণে অল্প বয়সে গর্ভধারণের ঝুঁকি এবং একইসঙ্গে কন্যাশিশুদের উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগের সুফলগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে এই ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরি এবং বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলোর মাধ্যমে সমাজের বাল্যবিয়ের ঘটনাগুলো প্রতিহত করা এবং ভুক্তভোগীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেতে উদ্বুদ্ধ করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইউএসএআইডি’র জনসংখ্যা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও শিক্ষা অফিসের পরিচালক জারসেস সিধওয়া বলেন, বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে ইউএসএআইডি কাজ চালিয়ে যাবে এবং বাল্যবিয়ে নির্মূলের জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে কাজ করবে, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে ভূমিকা রাখবে।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের আইইএম ইউনিটের পরিচালক আমির হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, মহিলা ও শিশু অধিদফতরের প্রতিনিধিবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা