• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

অন্যের কাছে আমরা হাত পাতবো না : প্রধানমন্ত্রী

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

জোর জুলুম না করে উদ্বুদ্ধকরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে কর আদায়ের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, মানুষকে কোনো ভয়-ভীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলা যাবে না। মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদের জানাতে হবে আপনার কর, আপনাদের কাজেই লাগে। সরকারের উন্নয়নের সুফল ভোগ করছে জনগণ। যারা সুফল ভোগ করছে তাদের তো কিছু দিতে হবে। রাষ্ট্র এমনি এমনি দিতে পারে না। আর অন্যের কাছে আমরা হাত পাতবো না।

আজ রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাজস্ব সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন এসব কথা।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

ঘরে বসে করদাতাদের কর দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ায় রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটার আরও ব্যাপক প্রচার দরকার। তাহলে রাজস্ব আহরণে খুব বেশি অসুবিধা হবে না। অনেকেই যেতে হবে, দিতে হবে- এই ঝামেলাটা নিতে চান না।

তিনি বলেন, ‘শুধু সাধারণ মানুষ বা ব্যবসায়ী না, প্রধানমন্ত্রীকেও কর দিতে হবে, সংসদ সদস্যদের কর দিতে হবে। নিজেরা আগে কর দিলে তবেই সবাই কর দিতে উৎসাহিত হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে জানাতে হবে, বুঝাতে হবে যে আপনি যে কর দেন তা আপনার কাজেই লাগে। আজকে দেশের যে উন্নয়ন তার সবই হয়েছে করের টাকায়। তাই যারা এই সুফলটা ভোগ করছেন তাদের তো কিছু না কিছু দিতে হবে। রাষ্ট্র তো আর সব নিজ থেকে দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, এখন যেহেতু মূল্যস্ফীতি বেশি, প্রত্যেক মানুষের উপর অতিরিক্ত চাপ। এক্ষেত্রে করহার বৃদ্ধি না করে করহার যৌক্তিক করতে হবে। করজাল বাড়াতে হবে, ই-টিআইএন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা খুবই কম। অনেক ঝামেলার মধ্যে করতে হয়, বা সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমি মনে করি, এখানে কোনো জোর খাটবে না। কর ফাঁকি দেওয়ার যাদের প্রবণতা আছে, সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল সিস্টেম হয়ে গেলে কেউ আর ফাঁকি দিতে পারবে না। আয়করের পরিমাণ এমন রাখা, প্রত্যেকেই যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে দিতে পারে।

তিনি বলেন, এখন কেউ আর কুঁড়েঘরে বাস করে না। প্রত্যেককে বিনা পয়সায় ঘর দিচ্ছি, দুই কাঠা করে জমি দিচ্ছি। জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, আর্থিক সহায়তা দিচ্ছি। পাশাপাশি ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এখন মানুষের হাতে টাকা বেড়েছে। ফলে উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে করদাতা মানুষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই প্রচার বাড়াতে হবে, মানুষকে সচেতন করতে হবে যে, আপনি যে সেবাটা ভোগ করছেন তা আপনাদের টাকায়। সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে কর দিলে সামনে সেবা আরও ভালো পাবেন।’

রাজস্ব বোর্ড দেশের ৮৬ শতাংশের বেশি কর আহরণ করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে রূপান্তরিত করতে চাই। এটাই আমাদের লক্ষ্য। রাজস্ব বোর্ড দেশের ৮৬ শতাংশের বেশি আহরণ করেছে। সামনে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সবকিছুর দাম বেড়েছে। বেশি দামে কিনে আনছে সরকার। ভর্তুকি দিয়ে কমমূলে আমরা দেশের মানুষকে দিচ্ছি। কৃষিতে ভর্তুকি দিচ্ছি। করোনার সময়ে আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি। সরকার যাতে রাষ্ট্র চালাতে পারে সেদিকে মানুষকে দৃষ্টি দিতে হবে। যাতে মানুষের কষ্ট না হয় সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিচ্ছি। রাজস্ব আয় বাড়াতে কাজ করতে হবে। মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা যত বাড়বে, দেশ ততো এগিয়ে যাবে।

রাজস্ব কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন ভবন করে দিয়েছি। সেই ভবনে বসে বেশি বেশি রাজস্ব আহরণে কাজ করবেন।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা