• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ২ জনের কারাদণ্ড

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২২  

বাগেরহাটে ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গভীর সমুদ্র থেকে মাছ আহরণ ও বিক্রয়ের দায়ে দুই ট্রলার মালিককে সাত দিনের কারাদণ্ড ও ৫ আড়তদারকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পৃথক দুটি অভিযানে এই দণ্ডাদেশ ও জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ।

রোববার (১২ জুন) ভোরে বাগেরহাট শহরের কেবি বাজার মৎস্য আড়তে অভিযান চালিয়ে ট্রলার মালিককে কারাদণ্ড ও ৫ আড়তদারকে ২ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হিসেবে এই জরিমানার আদেশ দেন। এ সময় বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এসএম রাসেল উপস্থিত ছিলেন।

অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কেবি বাজারের আড়তদার মো. ইসরাফিল সরদার, আব্দুল মান্নান, মিরাজ হোসেন, আব্দুস সালাম ও হাফিজুল সরদার।

অন্যদিকে, বেলা ১১টায় একই স্থানে অভিযান চালিয়ে বরগুনা জেলার পাথর ঘাটার কামরুল হাসান মিরাজ ও বাগেরহাট সদরের সুন্দর ঘোনা এলাকার আলামিনকে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হিসেবে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। অভিযানে বাগেরহাট সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস আনসারী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় এমভি বশির ও এমভি রাসেল নামে দুটি ট্রলারে থাকা মাছ নিলামে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার ও বিক্রির অপরাধে কেবি বাজার এলাকার আড়তদার ইসরাফিল সরদার, আব্দুল মান্নান, মিরাজ হোসেন, আব্দুস সালাম ও হাফিজুল সরদারকে দুই হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৩ জুলাই (নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন) পর্যন্ত কেবি ঘাটে কোনো সামুদ্রিক যান নোঙ্গর না করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ অমান্য করা হলে কেবি বাজারের আড়তদারদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা