• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

সিগারেট খাওয়ার অপরাধে ৩ শ্রমিককে ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে নির্যাতন

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০২২  

ওয়াশরুমে সিগারেট খাওয়ার অপরাধে তিন শ্রমিককে ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে নির্যাতন ও জোর পুর্বক মুচলেকা রেখে চাকুরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে মোংলা ইপিজেডের জীম লাইট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর এডমিন অফিসার হৃদয় মাহমুদের বিরুদ্ধে।

চাকরী থেকে বাদ দেয়া এ তিন শ্রমিকের অভিযোগ, ক্ষমা চেয়েও রেহাই পেলোনা অসহায় ওই তিন যুবক, বেতন না দিয়েই চাকুরি থেকে অব্যাহতি ও বুধবার দুপুরে ফ্যাক্টরী থেকে বের করে দেয়া হয়েছে তাদের। এছাড়া শাস্তি স্বরুপ আরো তাদেরকে রোদ্রে দাঁড় করিয়ে রাখেন হৃদয় মাহমুদ।

জীম লাইট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী থেকে চাকুরিচ্যুত মেশিন ও শেলাই অপারেটর ইব্রাহিম জোমাদ্দার, নয়ন হাওলাদার ও হেলপার পলক জানান, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফ্যাক্টরীটিতে কাজের ফাঁকে তারা ওয়াশরুমে গিয়ে ধুমপান করেন। এসময় অফিসের কে বা কারা দেখে অফিসারকে জানায়। তাই গোপনে ধুমপানের অভিযোগে ফ্যাক্টরীর সুপারভাইজার মোঃ মেহেদী ও লাইনম্যান মোঃ লিটন তাদেরকে সেখান থেকে ধরে এডমিন অফিসার হৃদয় মাহমুদের কাছে নিয়ে যান। এরপর এডমিন অফিসার হৃদয় তাদেরকে গালমন্দের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন ও ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে রোদ্রে দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে তাদের কাছ থেকে চাকুরি থেকে অব্যাহতির পক্রে মুচলেকা রেখে ফ্যাক্টরী থেকে বের করে দেয়া হয়।

ইব্রাহিম, নয়ন ও পলক বলেন, কোথাও কোন কাজ না পেয়ে অভাবের তাড়নায় দেড় মাস আগে মোংলা ইপিজেড জিম লাইট ফ্যাক্টরীতে কাজে যোগদান করেন। এর আগে এক মাসের বেতন তারা পেয়েছেন। কিন্তু চাকুরীচ্যুতি করলেও তাদের বাকী ১৫ দিনের বেতন দেননি এডমিন অফিসার হৃদয়। তারা আরো বলেন, হৃদয় তাদেরকে ফ্যাক্টরী থেকে বের করে দিয়ে শাসিয়ে বলেন, বাকি বেতন বা অন্য কোন কিছুই দেয়া হবেনা, এবিষয় কাউকে বলা হলে আরো শাস্তি ভোগ করতে হবে বলে জানায় চাকরী হারানে ওই তিন যুবক।

এ ঘটনার বিষয়ে জিম লাইট ফ্যাক্টরীর এডমিন অফিসার হৃদয় মাহমুদ বলেন, সিগারেট খাওয়ার কারণেই তাদেরকে চাকুরিচ্যুতি করা হয়েছে। এখানে বেপজার কিছু নিয়ম রয়েছে, নিয়ম ভঙ্গের কারণেই চাকরী থেকে তাদের বাদ দেযা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তাদেরকে কোন ধরণের টর্চার কিংবা ইলেকট্রিক শর্ট দেয়া হয়নি, এটা তারা বানিয়ে মিথ্যা বলছে।

মোংলা ইপিজেড এর নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমিও শুনেছি। অফিসার হৃদয় মাহমুদ যদি এমন করে থাকে অবশ্যই তাকে সতর্ক ও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাদের চাকুরিচ্যুতি করা হয়েছে তাদের পাওনা বেতন অবশ্যই বিঝে পাবেন। এছাড়া তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থাই আমি করবো বলে জানায় এ কর্মকর্তা।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা