• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

সার্ভে সনদ ছাড়াই চলছিল পাথর বোঝাই ডুবে যাওয়া জাহাজ দিদার

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২২  

বাগেরহাটের মোংলায় ৬শ টন পাথর নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গো 'এম ভি মাষ্টার দিদার' এর সার্ভে সনদ ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে এই জাহাজটি সার্ভে সনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। সার্ভে সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় জাহাজ চালানোর অপরাধে 'এম ভি মাষ্টার দিদার'-এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা রয়েছে।

এদিকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোঃ শাহীন মজিদ ডুবে যাওয়া জাহাজের ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন। জাহাজ মালিকদের সাথে কথা বলে দ্রæত জাহাজটি বন্দর চ্যানেল থেকে অপসারণের নির্দেষ দিয়েছেন।

হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোঃ শাহীন মজিদ বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ডুবে যাওয়া জাহাজটির সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এর পরেও মালিক পক্ষ  জাহাজটি চালিয়েছে। এটা এক ধরণের অপরাধ। এজন্য জাহাজের মালিক মোঃ দেলোয়ার হোসেন, জিয়াউর রহমান এবং আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে ফিটনেস বিহীন কার্গো জাহাজ পশুর নদীতে চালানোর অপরাধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডুবে যাওয়া স্থান থেকে সকল প্রকার নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দরের  ভিটিএমআইএস সিস্টেমের মাধ্যমে ডুবে যাওয়া জাহাজের অবস্থান সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী চ্যানেলের মধ্যে কোন জাহাজ ডুবে গেলে জাহাজটি অপসারণের জন্য মালিক পক্ষকে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়। ১৫ দিনে মধ্যে যদি মালিক পক্ষ জাহাজ অপসারণ না করে, তাহলে বন্দরের পক্ষ থেকে জাহাজটিকে অপসারণ করা হয়ে থাকে।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়ীয়ার তিন নম্বর অ্যাংকোরেজের লাল বয়া এলাকায় ৬‘শ টন পাথর নিয়ে ডুবে যায় 'এম ভি মাষ্টার দিদার' নামের ওই কার্গোটি। এসময় জাহাজে থাকা মাস্টারসহ ১০ জন সাতরে নিরাপদ স্থানে যেতে সক্ষম হয়।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা