বাজার নিয়ন্ত্রণে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
ষাট গম্বুজ টাইমস
প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৩
ব্যবসা-বাণিজ্য অন্যতম সম্মানজনক কাজ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যকে ইসলাম সব সময় উৎসাহিত করে থাকে। কিন্তু খাদ্যসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আটকে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জনের মানসিকতাকে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষকে দিশাহারা করে তোলে। অভাবের তাড়নায় মানুষ নানা অপরাধে লিপ্ত হতে কুণ্ঠাবোধ করে না। তাই এ রকম সময়গুলোতে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং কাজ। আজ আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা জানব-
মজুতদারি বন্ধ করা
বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হচ্ছে বাজারে সংকট সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অযথা পণ্য মজুদ। ফলে দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ জনগোষ্ঠীর। দুর্বিষহ হয়ে উঠছে জনজীবন। ইসলামে অযথা খাদ্য মজুদ করার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, নবীজি (সা.) বলেন, ‘দুর্নীতিপরায়ণ ছাড়া কেউ মজুতদারি করে না’। (তিরমিজি, হাদিস : ১২৬৭)
ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরা
ব্যবসায় দালাল হলো এমন চক্র, যারা দাম বাড়ানোর জন্য ক্রেতা-বিক্রেতার লেনদেনে হস্তক্ষেপ করে। সিন্ডিকেট তৈরি করে প্রান্তিক কৃষকদের ঠকায়, বাজারে মালামাল এনে ক্রেতাদেরও বোকা বানায়। নবীজি (সা.) তার উম্মতদের এ ধরনের কাজ করতে নিষেধ করেছেন। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘বাজারের বাইরে গিয়ে পণ্যদ্রব্য আনিত বণিকদলের সঙ্গে মিলিত হবে না, পশুর স্তনে দুধ জমিয়ে রাখবে না এবং দাম বৃদ্ধি করে একজন অন্যজনের পণ্য বিক্রয় করে দেওয়ার অপকৌশল অবলম্বন করবে না’। (তিরমিজি, হাদিস: ১২৬৮)
প্রয়োজনে সরকারিভাবে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া
শরিয়তের মেজাজ হচ্ছে সরকার সাধারণত পণ্য মূল্য নির্ধারণ করে দেবে না। তবে এই হুকুম বাজার স্বাভাবিক থাকা অবস্থায়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা যদি অতিরিক্ত মূল্য নেয় এবং বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে, তখন জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য সরকার পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেবে, যতক্ষণ না বাজার স্বাভাবিক হয়। (তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম: ১/৩১৩)
ঘুষ ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা
বাজারে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির আরেকটি কারণ হলো, বেপরোয়া ঘুষ ও চাঁদাবাজি। প্রভাবশালী নেতা, ক্যাডার ও প্রশাসনের লোকজন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করে থাকে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন মহলে ঘুষ দিয়ে থাকে। পরবর্তী সময়ে এসব ঘুষ ও চাঁদার অর্থ নিজেদের বিক্রীত পণ্যের মাধ্যমে উসুল করে। ফলে পণ্যের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেড়ে যায়। দিন শেষে এর ধকল পোহাতে হয় সাধারণ ক্রেতাদের। হাদিস শরিফে এ ধরনের চাঁদা আদায়কে জুলুম সাব্যস্ত করে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সাবধান! তোমরা কেউ কারো ওপর জুলুম করো না। সাবধান, কারো সম্পদ তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত অন্য কারো জন্য হালাল নয়। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২০৬৯৫)
বর্ধিত মূল্যের জিনিস পরিহার করা
হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পণ্য সাময়িকভাবে পরিহার বা কম ব্যবহার করলেও মূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো সম্ভব। এ বিষয়টিও ইসলামি ইতিহাসে স্বীকৃত। তারিখুল কাবিরে বর্ণিত আছে আব্বাস (রা.) এর আজাদকৃত দাস রাজিন বলেন, একবার মক্কায় কিশমিশের দাম খুব বেশি বেড়ে গেল। স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে দাম বেশি হওয়ায় মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ল। আমরা বিষয়টি লিখিতভাবে আলী (রা.) এর কাছে জানালাম। তিনি জবাবে লিখলেন, তোমরা খেজুরের দ্বারা এর মূল্য হ্রাস করে দাও অর্থাৎ কিশমিশের পরিবর্তে খেজুর ক্রয় করো। এতে কিশমিশের চাহিদা কমে যাবে এবং দামও কমে যাবে। (তারিখুল কাবির: ৩/৩২৫)
তারিখে দিমাশকের এক বর্ণনায় আছে, ইব্রাহিম ইবনে আদহাম (রহ.) এর যুগে একবার গোশতের দাম বেড়ে গেলে লোকেরা তার কাছে মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ নিয়ে এলো এবং গোশতের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার অনুরোধ জানাল। তিনি বললেন, তোমরাই এর মূল্য হ্রাস করে দাও। তারা বলল আমরা তো এর মালিক নই, কীভাবে মূল্য হ্রাস করব। তখন তিনি বলেন, এটা ক্রয় করা ছেড়ে দাও। দেখবে এমনিতেই মূল্য কমে যাবে। (তারিখে দিমাশক : ৬/২৮২)
ইয়া আল্লাহ! আমাদের সব কাজে ইসলামি নীতি অনুসরণের তাওফিক দান করুন। আমিন।
- জনপ্রিয় ডাচ অভিনেতার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ. চলছে তোলপাড়
- বৃষ্টির জন্য মোংলায় ইসতিসকার নামাজ ও মোনাজাত
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, ভাগ্যক্রমে বাঁচল কিশোরী
- ‘আম্মু, তোমাকে ভালোবাসি’, ডেঙ্গুতে মৃত মাকে ছোট্ট আইয়ানের চিঠি
- বিয়ে করছেন কঙ্গনা, পাত্র কে?
- মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
- হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও বিখ্যাত বিজ্ঞানীর ইসলাম গ্রহণ
- বিগ বস` বিজয়ী এলভিশ গ্রেপ্তার
- মুশতাক দম্পতি টিকটক করলে সমস্যা নেই
- শৈলকুপায় মাটি খুঁড়ে মিলল ১৫ পবিত্র কোরআন শরিফ
- মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দেয় ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়
- চলতি মাসেই কমছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- আগুনে পুড়লো পরিবারের পাঁচ সদস্য, পড়ে রইলো ভিসা-পাসপোর্ট
- সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- বৃষ্টির জন্য মোংলায় ইসতিসকার নামাজ ও মোনাজাত
- জনপ্রিয় ডাচ অভিনেতার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ. চলছে তোলপাড়