• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

যে সাহাবির তেলাওয়াত শুনে কেঁদেছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০২৩  

উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) বলেন, ‘নামাজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নবীজী এত দীর্ঘ সময় কোরআন তেলাওয়াত করতেন যে, তার পা মোবারক ফুলে যেত’। (সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৮১৯, ২৮২০)

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গুরুত্বের সঙ্গে কোরআন তেলাওয়াত করতেন। হাদিস ও রাসূল (সা.) এর জীবনীতে এর বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়। নামাজে, নামাজের বাইরে, রাতের আঁধারে, দিনের আলোতে সবসময় তিনি তেলাওয়াত করতেন।

রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে নিজে তেলাওয়াত করতেন তেমনি সাহাবিদের থেকেও তেলাওয়াত শুনতেন। একবার নবীজী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)-কে বললেন, তুমি আমাকে একটু তেলাওয়াত করে শোনাও তো। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আপনাকে তেলাওয়াত শোনাব, আপনার উপরই তো কোরআন নাজিল হয়েছে! নবীজী (সা.) বললেন, আমার মন চাচ্ছে, কারো থেকে একটু তেলাওয়াত শুনি! এ শুনে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) সূরা নিসা তেলাওয়াত করতে শুরু করলেন। পড়তে পড়তে যখন এ আয়াত পর্যন্ত আসলেন-

فَكَیْفَ اِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ اُمَّةٍۭ بِشَهِیْدٍ وَّ جِئْنَا بِكَ عَلٰی هٰۤؤُلَآءِ شَهِیْدًا

অর্থ: ‘সুতরাং তখন কী অবস্থা দাঁড়াবে, যখন আমি প্রত্যেক উম্মাতের মধ্য হতে এক একজনকে সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকেও হাজির করব তাদের উপর সাক্ষ্য দানের জন্য’। (সূরা: নিসা, আয়াত, ৪১)

এতটুকু তেলাওয়াত করার পর নবীজী (সা.) বললেন, ঠিক আছে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, নবীজী থামতে বলার পর আমি তার দিকে তাকিয়ে দেখি, তার দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে’। (সহিহ বুখারি, হাদিস, ৫০৫৫, ৪৫৮২, ৫০৪৯)

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা