• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

আজান-একামতের হুকুম ও ফজিলত

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩  

আযান বা আজান (আরবি: أَذَان আযান্‌) দিনের নির্ধারিত সময়ে একজন মুয়াজ্জিন আজান পাঠ করেন। আর এ আজান অর্থ মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য আহ্বান বা ডাকধ্বনি।

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য দৈনিক পাঁচবার মিনার থেকে উচ্চস্বরে আজান দেওয়া হয়। ফরজ নামাজের উদ্দেশ্য মসজিদে প্রবেশের জন্য এটি আহ্বান। ইকামত নামে পরিচিত ও দ্বিতীয় আহ্বান মসজিদে উপস্থিত থাকা লোকেদের নামাজের শুরুর জন্য লাইনে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

আজান-একামতের হুকুম ও ফজিলত

নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এটি ওয়াজিবের কাছাকাছি। এছাড়াও তা ইসলামের অন্যতম নিদর্শন। জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য একামত দেওয়া সুন্নত। একাকী ফরজ নামাজ আদায় করলে একামত দেওয়া মুস্তাহাব।

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আজান দেওয়া ও প্রথম কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করার ফজিলত কত, লোকেরা যদি তা জানত তাহলে এর জন্য লটারি করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না (বুখারি ৬১৫)

অন্য এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, কেয়ামতের দিন মুয়াজজিনের গর্দান হবে লম্বা (মুসলিম)। তার এ উঁচু গর্দান হবে তার জন্য সম্মানের কারণ।

মুয়াজজিনের আজান যেকোনো মানুষ, জিন বা অন্যেরা শুনতে পাবে তারা সবাই কেয়ামতের দিন মুয়াজজিনের জন্য (তার পক্ষে) সাক্ষ্য দেবে (বুখারি ৬০৯)

আজান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শয়তান দূরে গিয়ে পালায় (মুসলিম)

মুয়াজজিনকে তার আওয়াজের দূরত্ব পরিমাণ (গুনাহ) ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং শুকনো ও ভেজা যত কিছু (মুয়াজজিনের) শব্দ শুনে, তারা সবাই তাকে সত্যবাদী বলে ঘোষণা দেয়। আর তার সঙ্গে সালাত আদায়কারীদের সমপরিমাণ পুরস্কার তাকে দেওয়া হয়। (মুসলিম ৬৪৬)

রাসূলুল্লাহ (সা.) এভাবে তাদের জন্য দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন কর এবং মুয়াজজিনদেরকে ক্ষমা করে দাও (আবু দাউদ: ৫১৭)  আজানদাতাকে আল্লাহ মাফ করে দেবেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (আবু দাউদ ১২০৩)

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা