• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

মহাবিশ্বের রহস্যের নতুন দ্বার উন্মোচন

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২২  

ছায়াপথের জন্ম ও বিবর্তন এবং নক্ষত্র ও গ্রহের সৃষ্টির কারণ জানতে গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর মহাকাশে পাড়ি জমায় জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। এই স্পেস টেলিস্কোপটি নকশা ও নির্মাণে লেগেছে প্রায় ৩০ বছর। খরচ হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলার।
এবার প্রথমবারের মতো জেমস ওয়েবে তোলা ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উচ্ছ্বসিত স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। টুইট বার্তায় জেমস ওয়েবের তোলা প্রথম ছবি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘জ্যোর্তিবিজ্ঞান ও মহাকাশ অভিযাত্রার জন্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এক ঐতিহাসিক মুহূর্তকে তুলে ধরে জেমস ওয়েবের প্রথম ছবি। এবং এটি আমেরিকা ও পুরো মানবজাতির জন্য।’
নাসার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১১ জুলাই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেমস ওয়েবের তোলা ছায়াপথ গুচ্ছের প্রথম ছবি SMACS 0723 হোয়াইট হাউসের এক অনুষ্ঠানে উন্মেচন করেন।
জেমস ওয়েবের তোলা ছবির সিরিজের ফুল-কালার ছবি ও ডাটা, যা স্পেকট্রা নামে পরিচিত, আর কিছুক্ষণের মধ্যে নাসার লাইভ টেলিভিশন ব্রডকাস্টে প্রকাশ করা হবে।
এদিকে জেমস ওয়েবের প্রথম ছবি প্রকাশে উচ্ছ্বসিত সায়েন্স একটিভিস্ট হাশিম আল ঘাইলি। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে একই জায়গায় হাবল টেলিস্কোপের তোলা ছবির সঙ্গে জেমস ওয়েবের তোলা প্রথম ছবির তুলনা করে দেখান। যেখানে হাবল টেলিস্কোপ থেকে জেমস ওয়েবের সক্ষমতা কত বেশি তা বোঝা যায়।
আশা করা হচ্ছে, মহাকাশ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার দ্বার উন্মোচন হবে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে। এর সাহায্যে পৃথিবী থেকে সবচেয়ে বেশি দূরে মহাবিশ্বে বিরাজমান বস্তু ও সংঘটিত ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।
যেমন- এর দ্বারা ধারণকৃত অবলোহিত বিকিরণ (ইনফ্রারেড রে) চিত্রণের মাধ্যমে আজ থেকে ১ হাজার ৩৫০ কোটি বছরেরও আগে মহাবিশ্বের প্রথম আদি নক্ষত্রগুলো কীভাবে রূপ লাভ করেছিল তা জানা যাবে।
টেলিস্কোপটিতে রয়েছে ১৮টি আলোর প্রতিফলন করতে সক্ষম দর্পণখণ্ড। যেগুলো সোনা দিয়ে নির্মিত বেরিলিয়াম ধাতু দিয়ে তৈরি। সব কটি মিলে ৬ দশমিক ৫ মিটার ব্যাসের একটি বিশাল দর্পণ তৈরি করবে এটি। যেখানে এর আগের হাবল টেলিস্কোপের দর্পণের ব্যাস ২ দশমিক ৪ মিটার।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা