• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

করোনাকালে ঘরে বসে চুলের যত্ন

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২০  

নারীর সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ চুল। সব বয়সী নারীরই পছন্দ সিল্কি, ঝলমলে সুস্থ ও সুন্দর চুল। আর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল কিন্তু একদিনেই পাওয়া যায় না। এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত যত্ন।

চুল রুক্ষ ও আগা ফেটে যাওয়া কমানো, চুলের বৃদ্ধি, চুল পড়া কমানো, খুশকিমুক্ত, ঘন কালো, উজ্জ্বল ও ঝলমলে চুলের জন্য হেয়ার প্যাক ও হেয়ার স্পার বিকল্প নেই। একজন বিউটিশিয়ান ও কসমেটোলোজিস্ট হিসেবে আজ জানাব, বাসায় বসে কী করে হেয়ার স্পা ও প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে হয়।

দিন দিন চুল ঝরে যাচ্ছে, টাক পরে যাচ্ছে বা চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে এমন কথা আমরা প্রায়ই শুনি। এবার জেনে নিই ‘চুলের চারকাহন’, চুলে কেরাটিন নামের এক রকম প্রোটিন থাকে যা দিয়েই চুল তৈরি।

চুলে ৯৭ ভাগ প্রোটিন ও তিন ভাগ জল। চুলের যেটুকু আমরা দেখি, সেটি মৃত কোষ, কারণ এতে অনুভূতিশীল কোন কোষ নেই। গ্রীষ্মে চুল দ্রুত বড় হয়, কিন্তু শীতে কম বাড়ে। প্রতিদিনই কমপক্ষে ১০০টির মতো চুল ঝরে পড়ে। একটি চুলের গড় আয়ু ২ থেকে ৮ বছর। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি কারণে চুল পরতে পারে। চুল কেন পড়ে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেনিক হরমোনের প্রভাব বেশি, তাদের বেশি করে চুল পড়ে। ছত্রাক সংক্রমণ বা খুশকি চুল পড়ার অন্যতম কারণ।

দৈনিক খাদ্যতালিকায় আমিষ, শর্করা, চর্বি, খনিজ ও ভিটামিন পরিমিত পরিমাণে না থাকলে চুল পড়ে যায়। এ ছাড়া শরীরে দীর্ঘদিন কোন একটি উপাদানের অভাবে চুল পড়ে, দীর্ঘদিন মানসিক দুশ্চিন্তায় থাকলে বা দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পারলে অনেক বেশি চুল উঠে যায়।
খুব বেশি পরিমাণে চুল রং করার প্রসাধন। চুল সোজা করা বা রিবন্ডিং করলে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়। অনেক সময় অ্যানিমিয়া, টাইফয়েড, জন্ডিস, ম্যালেরিয়া বা ডায়াবেটিসে চুল উঠে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চুল ঝরতে থাকে।

তাহলে চুল বাঁচানোর উপায় কি? দাওয়াই কি? তেমন কিছুই নয়, ‘ঘরোয়া টোটকাতেই বাঁচতে পারে চুল।’ মেথিই পারে আমাদের চুলের সব সমস্যা দুর করে দিতে। এবারে জানব, কীভাবে আমরা মেথি ব্যবহার করব। মেথিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টসহ ভিটামিন এ সি বি কমপ্লেক্স আছে। ফলিক অ্যাসিড, নিকোটিনিক অ্যাসিড ও লেসিথিন রয়েছে। মেথিতে পটাশিয়াম থাকায় চুলের গোডায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।

সপ্তাহে দুবার দুই চা চামচ মেথি রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে ব্ল্যান্ড করতে হবে এবং নারিকেল তেল মিশাতে হবে চুলের পরিমাণ অনুযায়ী। তারপর চুলে অ্যাপ্লাই করে ২০ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর চার সপ্তাহ পর আবার একই নিয়ম ফলো করতে হবে। আর হ্যাঁ, চুলের যত্নে অবশ্যই মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে হবে।

এ ছাড়া সারা বছর আপনার চুলে মেথি তেল দিতে পারেন, তাতে চুল পড়া বন্ধ করবে, চুলের গোড়া মজবুত হবে, অকালপক্বতা রোধ করবে, তাতে স্কাল্পের শুষ্কতা নিয়ন্ত্রণ করে চুলকে করে তোলে সাইনি। চুলের গোড়া মজবুত, চুল ঘন করতে এবং খুশকি কমাতে মেথির বিকল্প নেই। এ ছাড়া, সপ্তাহে দুই দিন নারিকেল তেলে মেথি দিয়ে চুলায় ফোটাতে হবে, ঠান্ডা হলে স্কাল্পে ম্যাসাজ করতে হবে। তাতে চুলের সমস্যা কমবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা