• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বাগেরহাটে ঘর পাচ্ছে আরও ৬৪৫ ভূমিহীন পরিবার

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২১  

মুজিবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম দ্বিতীয় পর্যায়ে বাগেরহাটে ৬৪৫টি পরিবার জমিসহ পাকাঘর পাচ্ছে। এর মধ্যে নির্মাণ শেষ হওয়া ৪৩৪টি ঘর হস্তান্তর করা হবে আজ রোববার (২০ জুন)। এদিন ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে এসব ঘর হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন নাগরিকদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম ধাপে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারের মধ্যে ঘর হস্তান্তরের পর আজ দ্বিতীয় পর্যায়ে সারাদেশের আরও ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারের মধ্যে ঘর হস্তান্তর করা হবে। এ পর্যায়ে বাগেরহাটে জমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছে ৬৪৮টি পরিবার। এর মধ্যে ৪৩৪টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য বলছে, সদর উপজেলায় ৮৮টি, কচুয়া ১৭টি, রামপালে ৪০টি, মোংলায় ৫০টি, মোল্লাহাটে ৬০টি, চিতলমারীতে ৫০টি, ফকিরহাটে ১০০টি, মোরেলগঞ্জে ২৫টি এবং শরণখোলা উপজেলায় চারটি ঘর নির্মাণ শেষে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত। সারাদেশের অন্যান্য ঘরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব ঘরের হস্তান্তর প্রক্রিয়াও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকদের যারা এসব পাচ্ছেন তারা বলছেন, তাদের থাকার কোনো জায়গা ছিল না। অন্যদের দয়ার ওপর নির্ভর করে থাকতে হতো। কখনো কখনো থাকতে হতো খোলা আকাশের নিচে। সে অবস্থা থেকে এখন নিজের নামে দেওয়া জমিতে নিজের ঘরে থাকতে পারবেন— এটি তারা কখনোই ভাবতে পারেননি। কোনো ধরনের তদবির, উপঢৌকন ছাড়াই তারা ঘরবাড়ির মালিক হয়ে যাচ্ছেন— এমন অসামান্য উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।

মোংলা উপজেলার এ সংক্রান্ত প্রকল্প কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান বলেন, যারা এখানে থাকবেন তাদের জন্য বিদ্যুৎ, পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় এসব ঘরের জমিতে বজ্রপাত প্রতিরোধ ও ভূমিক্ষয় রক্ষায় দেড় হাজার তালগাছ রোপণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কলা গাছসহ বিভিন্ন ধরনের গাছও লাগানো হয়েছে । মোংলা নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা এই আবাসন এলাকার পরিবেশ হবে অত্যন্ত মনোরম।

মোংলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার জানান, প্রতিটি ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হয়েছে। উপজেলায় যে ৫০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে, এর বাইরে আরও ৭৫টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আজিজুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, মুজিবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় পর্যায়ে বাগেরহাটে ৬৪৫টি পরিবার জমিসহ পাকাঘর পাচ্ছে। যেসব ঘরের নির্মাণকাজ শেষ, সেগুলো হস্তান্তরের সব কার্যক্রম শেষ করা হয়েছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা