বাগেরহাটে হোম কোয়ারেন্টাইনে ১৩২৮ জন

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ২৬ বছর বয়সী এক নারীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত ওই নারীকে সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়। শুক্রবার এই নারীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে বাগেরহাট জেলায় করোনা আতঙ্কে শক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের ৩৮ দেশ থেকে বাড়ি ফেরা ৪ হাজার ২শ প্রবাসীর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৩২৮ প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এছাড়া ৭৬২ জনের হোম কোয়ারেন্টইনের নির্ধারিত সময় পূর্ণ হওয়ায় তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। 

তবে  কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় ২ হাজার ২১০ জন প্রবাসীকে বাড়িতে বাড়িতে খুঁজে ফিরছেন স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা। এসব প্রবাসীর বাড়িতে টানানো হচ্ছে লাল পতাকা। 

এই বিপুল সংখ্যক প্রবাসী কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় জেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে বাগেরহাট জেলায় ডাক্তার, নার্সসহ ১ হাজার ১৮৮ জন স্বাস্থ্যকর্মীর  করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মাত্র ১৫০টি পিপিই পাঠিয়েছে। এসব পিপিইর মধ্যে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ৫০টি ও ৮টি উপজেলা হাসপাতালের প্রত্যেকটিতে ৫টি করে পিপিই দেওয়া হয়েছে। বাগেরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির জানান, সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে ওই নারী হাসপাতালে আসলে তাকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। ওই নারী ১০ দিন ধরে সর্দি, জ্বর ও কাশিতে ভুগছিলেন এবং তিনি তার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ওই নারীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।