বাঙালি জাতিসত্তাকে অমর করেছেন বঙ্গবন্ধু
ষাট গম্বুজ টাইমস
প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২০
‘জাতীয়তাবাদ একটি আদর্শ, যেখানে জাতিকে মানব সমাজের কেন্দ্রীয় অবস্থানে স্থাপন করা হয় এবং অন্যান্য সামাজিক ও রাজনৈতিক আদর্শকে জাতিগত আদর্শের পরে স্থান দেওয়া হয়।’ (সূত্র: উইকিপিডিয়া)
এখন বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিচার করা হয় সাধারণত বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য বিশেষত ভাষা এবং সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। ৪৭ এর পরে এসে রাজনৈতিকভাবেও বেশ কিছু প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে, কখন বাঙালি থেকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বিবর্তন ঘটেছে। আমরা এমনই দুর্ভাগা জাতি যে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে আমাদের জাতিসত্তার ওপর আঘাত করা হয়েছিল। সেটি যেমন ঘটেছিল পাকিস্তানিদের দ্বারা ও তেমনি ঘটেছে আমাদের দেশে তথাকথিত কিছু ক্ষমতালিপ্সু অপশাসকদের মাধ্যমে। আমাদের জাতিসত্তার ওপর পাকিস্তানিদের কঠিন আঘাতের মাধ্যমে প্রকাশ পায় বঙ্গবন্ধুর বাঙালি সত্তার। বাঙালি জাতিসত্তার ওপর যখনই আঘাত এসেছে, তখনই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ মুখর হয়ে সেই আঘাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।
বাঙালি জাতি বা বাঙালি জাতি একটি সংকর জাতি। দক্ষিণ এশিয়ায় বসবাসকারী আদিতম মানবগোষ্ঠীসমূহের মধ্যে একটি। প্রায় ১৫০০ বছর আগে আর্য-অনার্য মিশ্রিত প্রাকৃত ভাষা থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক বাংলা ভাষা এবং ব্রাহ্মী লিপি থেকে সিদ্ধম লিপি হয়ে আধুনিক বাংলা লিপির সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীকালে অষ্ট্রিক ও নিগ্রিটো জাতির মানুষ এসে মিশেছে। বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়খণ্ড, আসাম, ত্রিপুরা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জসহ সারাবিশ্বে অনেক প্রবাসী বাঙালি আছেন। ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের পর বাঙ্গালির পরিচয়ে সর্বস্থানে স্থান পায় এই বাংলাদেশ, সেটিও হয় মূলত আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য উন্নত সংস্কৃতির কারণে। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের এই বাংলাদেশ জন্ম নেওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের নিজেদেরকে জানান দিয়েছি নতুনভাবে।
বাঙালি জাতীয়তাবাদ বা আমাদের জাতিসত্তার ইতিহাস অনেক প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক হলেও স্বার্থরক্ষা এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্যও আমাদের এই জাতিসত্তার পরিচয়ের ওপর এসেছে অনেক বড় বড় আঘাত। আমাদের জাতিসত্তার ১৫০০ বছর এবং স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছরের ইতিহাসে যে বিষয়টি লক্ষণীয়, তা হচ্ছে আমাদের এই জাতিসত্তাকে অমর করেছেন একজন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ। যিনি তার সারা জীবনের সংগ্রাম দিয়ে শুধুমাত্র একটি জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠা করেনি, একটি স্বাধীন দেশের জন্মও দিয়েছেন। তিনি হচ্ছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি এবং আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু তার দেশের মাটিতে আরো জোরালোভাবে দিলেন জাতীয়তাবাদের ঘোষণা। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বাঙালি জাতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অসম মরণ সংগ্রামে। জাতীয়তাবাদ না হলে কোন জাতি এগিয়ে যেতে পারে না। এই মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে আমরা এগিয়ে গিয়েছি। … এই যে জাতীয়তাবাদ, সে সম্পর্কে আমি একটা কথা বলতে চাই। ভাষাই বলুন, শিক্ষাই বলুন, সভ্যতাই বলুন আর কৃষ্টিই বলুন, সকলের সাথে একটা জিনিস রয়েছে, সেটা হলো অনুভূতি। … অনেক দেশ আছে একই ভাষা, একই ধর্ম, একই সবকিছু, কিন্তু সেখানে বিভিন্ন জাতি গড়ে উঠেছে, তারা একটি জাতিতে পরিণত হতে পারে নাই। জাতীয়তাবাদ নির্ভর করে অনুভূতির ওপর। আজ বাঙ্গালি জাতি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, এই সংগ্রাম হয়েছিল যার ওপর ভিত্তি করে সেই অনুভূতি আছে বলেই আজকে আমি বাঙালি, আমার বাঙালি জাতীয়তাবাদ।’ (গণপরিষদে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রদত্ত ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বরের ভাষণ)
১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর আমরা যখন পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হই এবং এরপর তারা আমাদের সর্বপ্রথম আঘাতটি করে আমাদের জাতিসত্তার ওপর । তারা আমাদের আঘাত করেছিল ভাষা দিয়ে, ধর্ম দিয়ে এবং আমাদের বিকাশমান সংস্কৃতির ওপর। দেশভাগের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যখন কলকাতা ছড়ে ঢাকা চলে আসেন তখন তিনি এই পাকিস্তানের অন্যায় ও অপশাসনের বিপক্ষে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করেন। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত মূলত বঙ্গবন্ধু জাতিসত্তার বিকাশ ও জাতীয়তাবাদের ওপর যে আঘাতগুলো আসে সেগুলোর মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যান। বলা যায় বাঙ্গালির জাতিসত্তার বিকাশের পথে যে বাঁধা আসে সেগুলোর প্রতিবাদের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রকাশ।
বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি হচ্ছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার গণতান্ত্রিক আন্দোলন সুসংহত হয় এবং অগ্রগতি লাভ করে। ভাষা আন্দোলনের চেতনাই জনগণের মধ্যে পরবর্তীকালে একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক নতুন চেতনার উন্মেষ ঘটায় এবং এর মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটে। বাঙালি জনগণের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষাকে হাজার গুণে বাড়িয়ে দেয় এ আন্দোলন। এই ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধু জেল খেটেছেন এবং ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল, তা পরবর্তী আন্দোলনগুলোর জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয়, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য বিশেষভাবে প্রেরণা জুগিয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। ৫২ এরভাষা আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ উদ্ভবে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ছিল।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন নিছক ভাষা আন্দোলন ছিল না, এটা ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মাইলফলক। বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বার্থের প্রশ্নে কোনদিন নূন্যতম আপোষ করেননি।
‘বাংলা আমার ভাষা। বাংলার মাটি, আমার মাটি।
বাংলার কৃষ্টি, বাংলার সভ্যতা আমার। আমি
বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করি।’
(১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩, চাঁদপুরে দেওয়া ভাষণ) এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাসের ভিত্তি।
বঙ্গবন্ধু আজন্ম লড়াই করে গেছেন সারা বিশ্বের দরবারে আমাদের একটি উন্নত জাতি হিসেবে দাঁড় করানোর জন্য। এজন্য সারাটি জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। একটি স্বাধীন দেশ পেয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতিসত্তাকে আরো দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। অনেক গর্ব ও দৃঢ়তার সাথে তিনি নিজেকে এবং এ জাতিকে সম্মানের আসনে বসিয়েছেন। যা ছিল একজন খাঁটি বাঙালির অনন্য পরিচয়। ১৯৭১ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে সরাসরি রেসকোর্স ময়দানে আসেন। এই ময়দানেই বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বজ্রকণ্ঠে যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেটি ছিল ১৮ মিনিটের। আর ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তিনি প্রায় ১৭ মিনিট জাতির উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা করেন। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেদিন বঙ্গবন্ধু ভাষণের শুরুতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন,
‘সাত কোটি সন্তানেরে হে মুগ্ধজননী,
রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করোনি। কবিগুরুর কথা মিথ্যা প্রমাণ হয়ে গেছে, আমার বাঙালি আজ মানুষ।’
ভাষণের এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু আরো বলেন, ‘আমার সেলের পাশে কবর খোঁড়া হয়েছিল। আমি প্রস্তুত হয়েছিলাম। বলেছিলাম, আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান, একবার মরে দুইবার মরে না। আমি বলেছিলাম, আমার মৃত্যু এসে থাকে যদি আমি হাসতে হাসতে যাব। আমার বাঙালি জাতকে অপমান করে যাব না। তোমাদের কাছে ক্ষমা চাইব না এবং যাবার সময় বলে যাব, জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলা, বাঙালি আমার জাতি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার মাটি আমার স্থান।’
এটি বঙ্গবন্ধুর একটি অনেক বড় দার্শনিক পরিচয় ‘বাঙালি’ এবং ‘মানুষ’। তিনি তার উন্নত এবং মহৎ কর্মগুলোর মাধ্যমে বাঙালিকে প্রতিষ্ঠা করতেন। একটি জাতি রাষ্ট্র গঠনে তাদের জাতীয়তাবাদের দর্শন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি দুর্বল হলে ঐ জাতি শক্তিহীন হয়ে পড়ে।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘কোনো জাতিরাষ্ট্রের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের দার্শনিক ভিত্তি যদি দুর্বল হয়, সেই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা অর্থবহ হয় না এবং জনগণ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারে না।’ (প্রথম আলো, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪)
আমাদের জাতি রাষ্ট্রের দার্শনিক ছিলেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি নিজের ত্যাগ তিতিক্ষা ও জীবনের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠা করেন বাঙালি জাতীয়তাবাদ। তিনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে ছিলেন অবিচল। মৃত্যুভয় ও তাকে কখনো তার বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে তার অবস্থান থেকে এক বিন্দু নড়াতে পারেনি ।
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস অনেক বিস্তৃত এবং তার শিকড় অনেক গভীরে প্রোতিথ। আর তা শুধুমাত্র ঘটনা নির্ভর নয়, চেতনা নির্ভর। তার সঙ্গে আমাদের এই ভূখণ্ডের মানুষের সংস্কৃতি অর্থাৎ ভাষা, সামাজিক আচার আচরণ, রীতিনীতি, অর্থনীতি ও ধর্ম জীবনের যাবতীয় বিষয় যুক্ত।
আমাদের স্বাধীনতার চেতনার মূলে ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিল মানুষের প্রতি ভালোবাসা আর বাঙালি জাতীয়তাবোধ। সেই জাতীয়তাবোধ আমাদের এনে দিয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা। আর বঙ্গবন্ধু এই মাটির বুকে আজীবনের জন্য গোতিথ করে গেছেন বাঙালি জাতীয়তাবাদ বাঙালি জাতিসত্তা।
জয় বাংলা শ্লোগান এবং বঙ্গবন্ধু এই দুটিই আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্মারক। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয়ের মধ্য দিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান আমাদের জাতীয় শ্লোগানে রূপ নিয়েছিল। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতায় আমরা এক হয়েছিলাম বাঙালি জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে।
সেই সময় আমাদের শ্লোগান হয়েছিল ... তুমি কে, আমি কে! বাঙালি বাঙালি...। তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা। বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। এই বাঙালি জাতীয়তাবাদ ছিল বঙ্গবন্ধুর রচিত ১৯৭২ সালের আমাদের সংবিধানের রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতির অন্যতম।
‘বাংলার সভ্যতা, বাঙালি জাতি-এ নিয়ে হলো
বাঙালি জাতীয়তাবাদ। বাংলার বুকে বাঙালি
জাতীয়তাবাদ থাকবে।’
(৭ জুন ১৯৭২, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রদত্ত ভাষণ)
‘বাঙালি’ জাতীয়তাবাদ হচ্ছে সেই সত্তা যাকে রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিম চন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতো মহান ব্যক্তিরা নিজের মতো করে আকার দিয়েছেন। সেই স্বপ্নেরই এক কঠিন সন্ধিক্ষণে বঙ্গবন্ধুকে কাঁধে তুলে নিতে হয়েছিল গুরুদায়িত্ব। যিনি সেটা প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং বাঙালিকে দিয়েছেন শ্রেষ্ঠ জাতির মর্যাদা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিভাকে ঘিরে বাঙ্গালির স্বপ্নের রূপকার হিসাবে নিউজউইক পত্রিকা তাকে রাজনীতির মহাকবি (পয়েট অব পলিটিকস) বলে আখ্যা দেন। বিবিসি তাকে স্বীকৃতি দেয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি রূপে। জীবিতাবস্থায় তিনি ছিলেন বাঙালির নয়নের মনি ‘বঙ্গবন্ধু’।
সারা বিশ্ব আজ অতিক্রম করছে এক ভয়াবহ প্যানডেমিক অবস্থা। আমরা পালন করার কথা ছিল মুজিবশতবর্ষ। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে মুজিববর্ষের সকল প্রোগাম স্থগিত করেন। আজকের মুজিবশতবর্ষে দাঁড়িয়ে শুধু বলতে চাই মুজিব শুধুমাত্র শতবর্ষের না, যতদিন বাঙালি থাকবে বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে অমর থাকবেন।
আমাদের বাঙালি জাতিসত্তার যেমন হাজার বছরের ইতিহাস আছে, তেমনি আরো হাজার বছর আমাদের জাতিসত্তার সর্বশ্রেষ্ঠ পুরুষ সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমর থাকবেন। তাই আজ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাথে জাতির পিতাকে উদ্দেশ্য করে একই ভাষায় বলবো, ‘তুমি ঘুমাও পিতা শান্তিতে। তোমার বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমরা জেগে রইব তোমার আদর্শ বুকে নিয়ে।’
লেখক: ছাত্রলীগ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
- জনপ্রিয় ডাচ অভিনেতার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ. চলছে তোলপাড়
- বৃষ্টির জন্য মোংলায় ইসতিসকার নামাজ ও মোনাজাত
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- শরীরের ওপর দিয়ে চলে গেল ট্রেন, ভাগ্যক্রমে বাঁচল কিশোরী
- ‘আম্মু, তোমাকে ভালোবাসি’, ডেঙ্গুতে মৃত মাকে ছোট্ট আইয়ানের চিঠি
- বিয়ে করছেন কঙ্গনা, পাত্র কে?
- মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
- হার্ভার্ডের অধ্যাপক ও বিখ্যাত বিজ্ঞানীর ইসলাম গ্রহণ
- বিগ বস` বিজয়ী এলভিশ গ্রেপ্তার
- মুশতাক দম্পতি টিকটক করলে সমস্যা নেই
- শৈলকুপায় মাটি খুঁড়ে মিলল ১৫ পবিত্র কোরআন শরিফ
- মুক্তিযুদ্ধে বিজয় এনে দেয় ৭ মার্চের ভাষণ: প্রধানমন্ত্রী
- দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্যদের নিষেধাজ্ঞা গ্রহণযোগ্য নয়
- চলতি মাসেই কমছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম
- রমজানে ভোক্তাদের যেন হয়রানি না হয়: প্রধানমন্ত্রী
- ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস অফিস এখন অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানির আখড়া
- ভোমরা স্থলবন্দরে দুর্নীতি, ডেপুটি কমিশনারকে প্রত্যাহারের দাবি
- আগুনে পুড়লো পরিবারের পাঁচ সদস্য, পড়ে রইলো ভিসা-পাসপোর্ট
- সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ
- আমাদের পুলিশ আরও স্মার্ট বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে: প্রধানমন্ত্রী
- গরম আরও বাড়তে পারে, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়ার আভাস
- স্যাটেলাইট ট্যাগ নিয়ে সুন্দরবনের কুমির ঘুরছে বরিশালের নদীতে
- ‘ও সাকি সাকি’ গান: এখনো ফিজিওথেরাপি নেন নোরা ফাতেহি
- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চলবে : হাইকোর্ট
- সুপারির খোলের পরিবেশবান্ধব প্লেট, বাটি, ট্রে, ফুড বক্স
- শ্রীলঙ্কার রানপাহাড়, বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিততে হবে বাংলাদেশকে
- ইসরায়েল হামলা চালালে এবার বৃহত্তর পাল্টা হামলা হবে: ইরান
- শাওয়ালের ৬ রোজার গুরুত্ব
- কৃষক লীগ নেতাদের গণভবনে উৎপাদিত শাক-সবজি উপহার শেখ হাসিনার
- নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, উত্তাল ইসরাইল
- মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ে ১০০০ কোটির ব্যবসা পুষ্পার
- বৃষ্টির জন্য মোংলায় ইসতিসকার নামাজ ও মোনাজাত
- জনপ্রিয় ডাচ অভিনেতার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ. চলছে তোলপাড়