• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত আজ

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২০  

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা ময়দান। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে লাখ লাখ মুসল্লির ঢল এখন ময়দানমুখী। আজ আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ ঢল অব্যাহত থাকবে। তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও মুসল্লিদের নফল নামাজ, তাসবিহ তাহলিল, জিকিরের মধ্য দিয়ে গতকাল বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হয়েছে।

আজ সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে আলমি শূরাদের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে আগামী ১৭ জানুয়ারি সা’দ অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে এবং ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে। প্রথম পর্বের আয়োজন শেষ করে ময়দান প্রশাসনের কাছে বুঝিয়ে দেবেন আয়োজক কমিটি। আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় কল-কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া টঙ্গী-কালিগঞ্জ সড়ক, কামারপাড়া সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, আশুলিয়া সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। যারা ময়দানে জায়গা পাননি তারা সড়ক মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। আবার অনেকে বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসা ও ময়দানের আশপাশে খালি জায়গায় চট কিংবা বিভিন্ন সামানা বিছিয়ে অবস্থান নিচ্ছেন। এবারের বিশ্ব ইজতেমায় বিপুলসংখ্যক মুসল্লি হাজির হওয়ায় মাঠে জায়গা পাচ্ছেন না অনেকে। টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর এলাকা থেকে আসা এক মুসল্লি আলী মাস্টার জানান, তাদের ৫০ জনের একটি জামাত ইজতেমা ময়দানে আসেন, কিন্তু জায়গা না পেয়ে ফেরত চলে যান। আবার অনেকে ময়দানের বাইরে অবস্থান নিয়ে কষ্ট করে বসে আছেন, আখেরি মোনাজাত শেষ করেই তারা ময়দান ত্যাগ করবেন। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য।

দেশি-বিদেশি মুসল্লিদের সেবায় সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. শেখ মো. আবদুল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা প্রশাসন এস এম তরিকুল ইসলাম। নিরাপত্তার বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তায় পুলিশ, র‌্যাব, গোয়েন্দাসহ যৌথ বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্য ৫ স্তরে ভাগ হয়ে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। র‌্যাবের পক্ষ থেকে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন, ১১টি চেকপোস্ট, হেলিকপ্টার ওঠানামার জন্য দুটি পয়েন্টে হ্যালিপ্যাডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। থাকছে পুরো ময়দানজুড়ে সিসিটিভি, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর। খিত্তায় খিত্তায় নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র চালু রয়েছে। নিরাপত্তা মনিটরিংয়ের জন্য একটি প্রধান কন্ট্রোল রুম ও ৮টি সাব কন্ট্রোল রুম স্থাপিত হয়েছে। এ ছাড়াও ইজতেমা মাঠসহ আশপাশে কোথায় কী হচ্ছে তা সিসিটিভিতে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা