• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

বিসিএস ও এফসিপিএসের প্রস্তুতি একই সঙ্গে নিয়েছি

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২০  

৩৯তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) প্রথম এবং ৩৮তম বিসিএসে (স্বাস্থ্য) তৃতীয় হয়েছেন ডা. নীলিমা ইয়াসমিন। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত। বিসিএস প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন গোলাম মোর্শেদ সীমান্ত

সুনির্দিষ্টভাবে বিসিএসের জন্য কখন থেকে প্রস্তুতি নিয়েছেন?
২০১৬ সালে যখন ইন্টার্নশিপে ছিলাম তখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। আমি তখন গর্ভবতী ছিলাম। বিসিএস ও মেডিক্যালের এফসিপিএস—উভয় পরীক্ষাই পাশাপাশি ছিল। আলহামদুলিল্লাহ, দুটিতেই উত্তীর্ণ হয়েছি। পরীক্ষার আগে কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলাম, কিন্তু বেশি ক্লাস করা হয়নি। এর মধ্যে ট্রেনিং, পড়াশোনা, তার ওপর আমি অসুস্থ—সব মিলিয়ে অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। ৩৯তম বিসিএসের জন্য ঘটা করে প্রস্তুতি নিতে পারিনি, তবে নিয়ম করে পড়তাম।

দৈনন্দিন পড়াশোনার রুটিন কেমন ছিল?
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকেরই অনেক আগে থেকেই বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার লক্ষ্য থাকে। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শেষে তারা এর জন্য পুরোদমে প্রস্তুতি নিতে পারে।

কিন্তু আমাদের (মেডিক্যালের শিক্ষার্থী) জন্য জন্য বিষয়টা এমন না, আমাদের বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয়।

আমি যখন এফসিপিএসের (ফেলো অব কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ওই সময়টায় আবার বিসিএসের জন্যও প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। বাচ্চাটাও ছোট ছিল, আমি বিসিএসের জন্য নিয়মিত টানা ছয়-সাত মাস পড়েছি। পরীক্ষার আগে কোচিংয়ের নমুনা পরীক্ষাগুলোতেও ভালো করেছি। দীর্ঘদিন ধরে আমি অপেক্ষা করছিলাম সার্কুলারের জন্য। আমার প্রস্তুতি খু্ব ভালো ছিল।

আপনি কোথায় কোথায় পড়াশোনা করেছেন, ফলাফল কেমন ছিল? 
আমি ঢাকার মুন্সী আবদুর রউফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০০৮ সালে এসএসসি (বিজ্ঞান) আর ২০১০ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি (বিজ্ঞান) পাস করেছি। বৃত্তি নিয়ে দুটিতেই গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাই। এরপর ভর্তি হই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে এমবিবিএস পাস করি। মেডিক্যালে ভালো ফলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছিলাম।

বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে ভালো করার উপায়? 
সাধারণ বিসিএস আর স্বাস্থ্য বিসিএসের অনেক কিছুই ভিন্ন। আমার মতে, এমবিবিএস শেষ করেই বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। আমি কোনো বিষয়কে আলাদাভাবে বেশি গুরুত্ব দিইনি, সব বিষয়কেই সমান গুরুত্ব দিয়েছি। বিসিএস প্রস্তুতির জন্য আলাদা সময় বের করতে পারলে খুব ভালো হয়। নিজের সমস্যা নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে। এরপর সে অনুযায়ী দুর্বলতা কাটিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে।

সচরাচর প্রার্থীদের মাথায় বিসিএস নিয়ে যেসব প্রশ্ন আসে, সেগুলো কী আর এগুলোর উত্তরই বা কী, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলুন?

বেশির ভাগ বিসিএসপ্রার্থীর মনে এই প্রশ্নটা আসে যে—এই কয়েক মাসে কি গণিত শেষ করা সম্ভব! যদি কেউ সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ রাখেন এবং নিয়ম করে প্রতি মাসে পড়েন, তাহলে ঘাটতি অনেকটাই পূরণ সম্ভব বলে মনে করি। নিজের দুর্বলতার জায়গায় সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে।

বিসিএস বড় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। কোনো প্রার্থীর প্রথমবারই যে চান্স হয়ে যাবে, তা নয়। যে যে বিভাগে সে বিভাগ অনুযায়ী বুঝে পড়াশোনা করলে সফল হওয়া সহজ হবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা