• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

মানুষের সেবক হয়েই কাজ করে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারি ২০২১  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের সেবক হয়ে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘আমি যেদিন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিই, সেদিনই বলেছিলাম আমি মানুষের সেবক হয়ে কাজ করব। প্রধানমন্ত্রীত্ব আর কিছু না, প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে এটা যে, আমি কাজ করার সুযোগটা পাচ্ছি। কাজেই সেই মানুষের জন্য কাজ করব, মানুষের সেবা করব। আমার সরকার মানে মানুষের সেবক। সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, লালমনিরহাটে প্লেন তৈরি করব, কোন চিন্তা নেই। এভিয়েশন ও এরোস্পেস ইউনিভার্সিটি হলে পুরো এলাকার চিত্র পাল্টে যাবে। তিনি বলেন, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম- এসব এলাকা এক সময় খুবই অবহেলিত ছিল। এ কারণে লালমনিরহাটে এভিয়েশন ও এরোস্পেস ইউনিভার্সিটি তৈরি হচ্ছে। এই একটি প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে আরও ভাল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। এছাড়া কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি উপকারভোগীদের মোবাইল ফোনে মোবাইল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রেরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর সবথেকে বেশি উপকারভোগী জেলাসমূহের মধ্যে চাঁদপুর, পিরোজপুর, লালমনিরহাট ও নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিল।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমদ বক্তৃতা করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জয়নুল বারী স্বাগত বক্তৃতা করেন। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচীর ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইতোমধ্যে ভাতাভোগীদের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। কর্মসূচীর আওতায় মোট ৮৮ লাখ ৫০ হাজার বিভিন্ন ভাতাভোগী-শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৬৯ লাখ জনের তথ্য জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যেই সকল ভাতাভোগীকে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভাতা পৌঁছে দেয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এখন থেকে দু’টি শীর্ষ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ ও ‘বিকাশ’-এর মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর বয়স্কভাতা, বিধাবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা সরাসরি উপকাভোগীদের মোবাইল ফোনে প্রেরণ করা হবে।

তার সরকার মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস করতে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বিভিন্ন ভাতার টাকা সরাসরি উপকারভোগীর মোবাইলে প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে ভাতাটা যাকে দিচ্ছি সেটা যেন সরাসরি সেই মানুষটার হাতে পৌঁছায়। মাঝে যেন আর কেউ না থাকে। অর্থাৎ অর্থটা যাদের প্রয়োজন তারাই পাচ্ছেন এবং তাদের যেভাবে খুশি তারা ব্যবহার করতে পারবেন। এটা করার জন্য তার সরকার দীর্ঘদিন থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি এ ব্যবস্থা চালুর জন্য সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, অর্থমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে ২০০৭ সালে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় সর্বপ্রথম আমাকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও আমি বিরোধী দলে ছিলাম তারপরও। সাধারণত আমাদের দেশে সেটা হয় না। সবসময় দেখা যায় যারা ইমার্জেন্সি দিয়েছে, তারা ক্ষমতায় যে থাকে তাকেই ধরে। কিন্তু সেই সময় আমাকে আগে ধরল।

গ্রেফতারের পর ভবিষ্যতে দেশকে কিভাবে উন্নত, সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তোলা যায়, কারাগারে বসেই সেই পরিকল্পনা করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বসে থাকিনি। ওই কারাগারে যখন ছিলাম, প্রথম যখন গেলাম তখনই আমি চিন্তা করলাম যে একদিন না একদিন তো এখান থেকে মুক্তি পাব, দেশের জন্য কাজ করব। তাহলে কি কাজ করব, কোন সালে কি করব, খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করা, স্যানিটারি ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করা, মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন নিশ্চিত করা, শিক্ষার হার বাড়ানো, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া, এইসব বসে বসে চিন্তা করে করে আমি লিখে রাখতাম।’ এরপর ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সময় নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করতে গিয়ে সেইসব পরিকল্পনাসহ অন্যান্য পরিকল্পনা যুক্ত করে ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দেয়ার কথা জানান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্য উডস আর লাভলি, ডার্ক এ্যান্ড ডিপ। বাট আই হ্যাভ প্রমিজেস টু কিপ এ্যান্ড মাইলস টু গো বিফোর আই স্লিপ, এ্যান্ড মাইলস টু গো বিফোর আই স্লিপ।’ অন্ধকার, ঘন অন্ধকার বনায়ন দেখতে সুন্দর। কিন্তু আমাকে এই ঘন অন্ধকারের সেই ঘন গভীর জঙ্গল পার হতেই হবে এবং আমার চলার পথ শেষ নেই। মাইলের পর মাইল আমাকে যেতে হবে। আমাকে ক্লান্ত হলে চলবে না, ঘুমালে চলবে না। আমার অভীষ্ট লক্ষ্যে আমাকে পৌঁছাতেই হবে। আর সেই লক্ষ্যটা কী? সেই লক্ষ্যটা হলো এদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা।’

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস রেখে তাদের বারবার ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ দেয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। একইসঙ্গে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যে সমস্ত ভাতা দিচ্ছি এটা যেন যথাযথ সঠিকভাবে যে মানুষটাকে আমরা দেব তার হাতে পৌঁছায়। মাঝে যেন আর কেউ না থাকে। তাদের অর্থটা তাদের হাতে যাবে। তাদের যেভাবে খুশি তারা সেভাবে ব্যবহার করবে। সেটার ব্যবস্থা করতে দীর্ঘদিন ধরে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেই ব্যবস্থাটা আপনারা নিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন বয়স্কভাতা শুরু করি আমি এভাবে হিসাব করেছিলাম যে, কেউ ভাতার ওপর শুধু নির্ভরশীল হোক সেটা আমরা চাই না। ভাতা পাবে কিন্তু যার কর্মক্ষমতা আছে সে নিজে কিছু কাজও করবে, একেবারে ঘরে বসে থাকবে না। যেন অন্তত ১০ কেজি চাল কিনতে পারে সেই হিসাবে আমরা ভাতা দেয়া শুরু করি। তখন ১০ টাকায় এক কেজি চাল পাওয়া যেত। তাই আমরা ১০০ টাকা করে ভাতা দেয়া শুরু করি। এখন সেটা বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে যা আগের চেয়ে সংখ্যায় বেশি সংখ্যক লোক পাচ্ছেন। এর মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্যটা হচ্ছে দেশের কোন মানুষ যেন নিজেকে অপাংক্তেয় মনে না করে এবং এর মাধ্যমে প্রত্যেকের প্রতি রাষ্ট্রের যে কর্তব্য রয়েছে সেটাই আমরা করতে চাই।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশে কোন মানুষ গৃহহীন, ভূমিহীন থাকবে না, পাশাপাশি প্রতিটি মানুষের ঘরে বিদ্যুত পৌঁছাতে সরকার কাজ করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের পাশপাশি অন্যদেরও এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান তিনি। বলেন মুজিববর্ষ এবং আমাদের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের এটাই লক্ষ্য থাকবে যে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করা। আর সেই কাজ করতে গিয়ে শুধু সরকার একা না, যে যেখানে আছেন তাদেরও নিজ নিজ কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে।

প্রত্যেক এলাকার গৃহহীন, ভূমিহীনের তালিকা পেলে তাদের সরকার বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেবে উল্লেখ করে সরকার প্রধান আরও বলেন, যাদের সামর্থ্য আছে আপনারা নিজেরাও করে দেবেন। সবাই মিলে যদি আমরা করি, এই দেশটাকে আমরা নিশ্চয়ই এগিয়ে নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ করতে পারব। এই বিশ্বাস আমার আছে।

পল্লী অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে জাতির পিতাই প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম, প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত হাসপাতাল করা থেকে শুরু করে সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদ চালু এবং উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। জাতির পিতা প্রত্যেকটি মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করে সারাদেশের জেলার সংখ্যা ২৯ থেকে বাড়িয়ে ৬০টি করেন। যেটি বর্তমানে ৬৪টি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোটা অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ, তারপরও সে কাজই জাতির পিতা করতে চেয়েছিলেন জীবনের সবরকম সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে তিনি দেখেননি। বারবার আঘাত এসেছে, মৃত্যুকে কাছ থেকেও দেখেছেন কিন্তু লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি। ফাঁসির আদেশ, গুলি, বোমা কিছুই তাঁকে টলাতে পারেনি। তিনি বলেন, দেশকে এভাবে ভালবাসার শিক্ষাটা তিনি পিতার (বঙ্গবন্ধু) কাছ থেকেই পেয়েছিলেন। কারণ তাদের পরিবার নয়, দেশের মানুষই জাতির পিতার কাছে সবথেকে বড় ছিল। যে জন্য মাত্র ৫৪ বছর বয়েসেই তিনি একবার করলেন পাকিস্তান সৃষ্টির আন্দোলন এবং এরপর লড়লেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য।

’৮১ সালে দেশে ফেরার পর মানুষের দুর্দশার যে চিত্র তিনি দেখেছিলেন তা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মানুষের পেটে তখন খাবার ছিল না, বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় এনে মানুষকে পরতে দেয়া হতো, তাও অনেকে পেত না। দিনের পর দিন দুর্ভিক্ষ চলেছে, মানুষের সারি দেখে মনে হতো যেন জীবন্ত কঙ্কাল- এই ধরনের একটা পরিবেশ আমার নিজের চোখেই দেখা। সে সময় মাইলের পর মাইল হেঁটে বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্মৃতিচারণ করে বলেন, তখন থেকেই এই চিন্তাটা ছিল, ক্ষমতায় গেলে জনগণের জন্য কী করব? কাজেই ’৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় গিয়েই দেশের বয়োবৃদ্ধ, স্বামী পরিত্যক্তা এবং পরবর্তিতে প্রতিবন্ধী এবং সে সময় সবথেকে অবহেলায় থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতার আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ গ্রহণ করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বামী পরিত্যক্তা নারীদের জায়গা বাপের বাড়ি বা স্বামীর বাড়িতে না হওয়ায় ভাগ্য অন্বেষণে এসে অনেকেরই পতিতালয়ে ঠিকানা হয়। আর ছেলে-মেয়েগুলো ভবঘুরে বা পথশিশু হয়ে যায়। কাজেই হাতে কিছু টাকা রেখে পরিবার ও সমাজে যেন তারা বেঁচে থাকতে পারেন এবং নানা সামাজিক অবিচার থেকে অসহায় দরিদ্রদের রক্ষার জন্যই তার সরকার নানারকম ভাতার প্রচলন করেছে। কারণ হাতে নগদ টাকা থাকলে পরে স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবাদের পরিবারে স্থান হবে এবং সামাজিক সমস্যাও দূর হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে জাতির পিতার চলমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কর্মসূচী ঘটা করে করতে না পারলেও তার সরকার মুজিববর্ষে দেশের গৃহহীন প্রত্যেককে একটি করে বসবাসের ঘর করে দেয়ার মাধ্যমে গৃহহীনদের পুনর্বাসনের কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সারাদেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীর মাধ্যমে এক কোটির বেশি বৃক্ষরোপণ করা এবং মুজিববর্ষ ও আসন্ন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে সরকার দেশের সকল ঘরে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে সব ঘর আলোকিত করার পদক্ষেপও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনি এসব কাজে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করেন এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচীটি সবসময় চলমান রাখারও আহ্বান জানান।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা