মোংলা বন্দরের উন্নয়ন পরিদর্শনে নৌ-পরিবহন কমিটি

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মোংলা বন্দরের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধি দলটি গতকাল সোমবার দুপুরে বন্দরে এসে মোংলা থেকে ৩টি স্পিডবোটযোগে হিরনপয়েন্ট গিয়ে আউটারবারে চলমান ড্রেজিংসহ নানা প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে হিরনপয়েন্ট থেকে বন্দরে ফিরে এসে বন্দরের জেটিসহ নানা উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনকে বন্দর সভা কক্ষে কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময়সভায় মিলিত হন। মোংলা বন্দর চ্যানেলের আউটারবার ড্রেজিং প্রকল্পটির প্রস্তাবিত ড্রেজিং এর পরিমাণ ১০৩.৯৫ লক্ষ ঘনমিটার এর প্রাক্কলিত ব্যয় ৭১২.৫০ কোটি টাকা। মোংলা বন্দরের অ্যাংকোরেজ এলাকা পর্যন্ত ১০.৫ মি. ড্রাফটের জাহাজ আনয়ন করার লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং যথাসময়ে এটি সম্পন্ন এবং পরবর্তী সংরক্ষণ ড্রেজিং এর জন্যও নির্দেশনা প্রদান করেন।

বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্প, স্থাপনাদি ও কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে মোংলা বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম, উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এক সভা করেন। সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এমপি।

বীরউত্তম বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে দেশের সার্বিক উন্নয়নের সাথে সাথে মোংলা বন্দরও এগিয়ে যাচ্ছে। মোংলা বন্দরকে ঘিরে প্রকল্পগুলো যাথে সঠিকভাবে বাস্তবায়ন তার দিকে খেয়াল রাখার জন্য সকলকে বলেন। তিনি বন্দরের কার্যক্রমে ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, অচিরেই এই বন্দর আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি লাভ করে দেশ ও পার্শ্ববর্তী দেশ সমূহে সেবা দিতে পারবে বলে আশা করেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, মো. মজাহারুল হক প্রধান, রণজিৎ কুমার রায়, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, এস এম শাহজাদা, অনল চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা-১), নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ পরিদর্শনে সফর সঙ্গি ছিলেন।

বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মোংলা বন্দরের সম্ভাব্য বর্ধিত চাহিদা সুষ্ঠু ও দক্ষতার সাথে মোকাবেলার জন্য আউটারবার এলাকায় ড্রেজিং এর মাধ্যমে ৮.৫ মিটার সিডি গভীরতা অর্জন করা হলে স্বাভাবিক জোয়ারে ১০.৫ মিটারের অধিক ড্রাফটের জাহাজ অ্যাংকোরেজে হ্যান্ডেল সম্ভব হবে বলে অবহিত করেন।

বন্দর চেয়ারম্যান আরো উল্লেখ করেন, পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে বন্দরের কাজ বহুগুনে বেড়ে যাবে। সে লক্ষকে সামনে রেখে বন্দরে ইতোমধ্যেই ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করেছে। চ্যানেলে ড্রেজিং, সংরক্ষণ ড্রেজিং, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি ও জলযান সংগ্রহ এবং পরবর্তী একশত বছরের কার্যক্রমের প্রক্ষেপণ প্রস্তুতসহ ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে মাস্টার প্লান প্রণয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি স্থায়ী কমিটির এই পরিদর্শন ও দিক নির্দেশনা বন্দরের কাজকে আরো গতিশীল করবে এবং জাতীয় সংসদ ও তথা সারা দেশে বন্দরের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং পরিদর্শনে আগত সকলকে ধন্যবাদ জানান।