• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

রাসূলের (সা.) চল্লিশ হাদিস

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সর্বশেষ নবী। দুনিয়াতে যারা তাঁর দেখানো পথে চলবে, পরকালে তারাই জান্নাতে যাবে। তারাই জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। 

আমরা তাঁর উম্মত বা অনুসারী দল। আমরা তাঁর দেখানো পথে চলি। সঠিক পথ পাবার জন্যে তিনি আমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে গেছেন। একটি হলো আল্লাহর কোরআন। আর অপরটি হলো তাঁর সুন্নত বা সুন্নাহ।

নবীর (সা.) সুন্নাহ সম্পর্কে জানা যায় হাদিস থেকে। হাদিসের অনেকগুলো বড় বড় গ্রন্থ আছে। নবীর বাণীকে হাদিস বলে। নবীর কাজ কর্ম এবং চরিত্রের বর্ণনাকে ও হাদিস বলে।

নবীর (সা.) সমর্থন এবং আদেশ নিষেধের বর্ণনাকেও হাদিস বলে। ইসলামের সত্য ও সঠিক পথকে জানার জন্যে আমাদের আল্লাহর বাণী কোরআনুল কারিমকে বুঝতে হবে এবং মানতে হবে।

ঠিক তেমনি আমাদেরকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী (হাদিস) পড়তে হবে এবং সে অনুযায়ী চলতে হবে।

তবেই মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা খুশী হবেন আমাদের প্রতি। আমরা হতে পারবো সত্যিকার মুসলিম।

তো চলুন আমরা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চল্লিশটি হাদিস জেনে নিই।

(১) রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার চল্লিশটি হাদিস আমার উম্মতের কাছে পৌঁছাবে, তার জন্য আমি কেয়ামতের দিন বিশেষ ভাবে সুপারিশ করব।’

(২) ‘মানুষের মধ্যে যারা মৃত্যুকে বেশি স্বরণ করে এবং উহার জন্য প্রস্তুতি নেয় তারাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান। -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৩) ‘প্রত্যেক জিনিশের জাকাত আছে, আর দেহের জাকাত হচ্ছে রোজা।’-হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৪) ‘যে তার সময় আল্লাহর জন্য ব্যয় করে না, তার জন্য জীবন অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৫) ‘যারা সবসময় ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে তাদের সঙ্গে উঠা বসা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল হয়।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৬) ‘তুমি যত সিজদা দেবে, আল্লাহ তত গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৭) ‘সূরা ফাতিহা প্রায় ১০০০ রোগের ওষুধ’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৮) ‘হাতের তালুতে জ্বলন্ত আগুনের কয়লা রাখলে যেমন কষ্ট হবে, তার চেয়ে বেশি কষ্ট হবে শেষ জামানায় ঈমান রাখতে।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৯) ‘রোজাদারদের জন্য প্রতিদিন জান্নাত সুসজ্জিত করা হয়।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(১০) রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন সব নবীর চেয়ে আমার উম্মতের সংখ্যা বেশি হবে, এবং আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলবো।’ (সহিহ মুসলিম:১৯৬)।

(১১) ‘যে ব্যক্তি রোজা রাখা অবস্থায় মারা যাবে, আল্লাহ তাকে কেয়ামত পর্যন্ত সব রোজার সাওয়াব দান করবেন।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(১২) ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর হেফাজাতে চলে গেলো।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(১৩) রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রোজা ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে।’ (মুসনাদে আহমাদ: হাদিস: ৬৬২৬)।

(১৪) নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘রোজাদারদের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির সংবাদ হলো, হাশরের মাঠে আল্লাহ সবার আগে রোজাদারদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন।’

(১৫) ‘যখন রমজান আসে, তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(১৬) রাসূল (সা.) বলেন, ‘যখন কোনো বান্দা আল্লাহর দিকে দুটি হাত উঠায়, তখন তিনি তা ব্যর্থ বা শূন্য ভাবে ফিরিয়ে দেন না।’ (তিরমীজি-৫/৫০২)।

(১৭) হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘একটি খেজুরের অর্ধেক হলেও দান করো, জাহান্নামের শাস্তি হতে নিজেকে হেফাজত করো।’
(বুখারি: ৬০২৩)।

(১৮) ‘যদি ভালো হতে চাও তবে সর্ব প্রথম মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(১৯) তুমি যখন রাস্তা দিয়ে যাও তখন আল্লাহর নামে জিকির কর, কারণ হাশরের দিন ওই রাস্তা তোমার নামে সাক্ষি দেবে।
-হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(২০) ‘তোমরা সবসময় ওজু করো কারণ কেয়ামতের দিন, যারা ওজুকারী তাদের হাত-পা উজ্জ্বল থাকবে।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(২১) ‘যার দুঃখ বেশি তার প্রতি আল্লাহর রহমতও বেশি।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(২২) ‘যখনি নামাজে দাঁড়াবেন, জীবনের শেষ নামাজ মনে করবেন।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(২৩) ‘যে নারী গর্ভাবস্থায় এক খতম কোরআন পাঠ করবে, তার গর্ভের ওই সন্তান একজন নেককার বান্দা হিসেবে দুনিয়াতে আগমন করবে।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(২৪) ‘চুপ থাকার কারণে মানুষের যেই মর্যাদা হাসিল হয়, তা ষাট বছর নফল ইবাদত হতে উত্তম।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(২৫) ‘রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘জান্নাতের সবচেয়ে নিকটবর্তী আমল
হলো সময়মতো সালাত আদায় করা।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬০)।

(২৬) ‘যে ধোকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়!’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(২৭) ‘তুমি জানো তুমি সঠিক, তবুও তর্ক করো না।’ -হজরতমুহাম্মদ (সা.)।

(২৮) হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘তোমরা বিপদে পরে মৃত্যু কামনা করবে না। বরং বলবে, হে আল্লাহ! যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর তখন আমাকে মৃত্যু দিন।’

(২৯) ‘সূরা ইয়াসিনকে কোরআনের হৃদয় বলা হয়।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৩০) ‘মায়ের একটি কষ্টের নিঃশ্বাস, সাতটি দোযখের চেয়েও ভয়ংকর। আর একটি সুখের হাসি আটটি বেহেস্তের সমান।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৩১) ‘যে অন্যের‍ বাবা-মা’কে গালি দিলো সে যেনো নিজের বাবা-মা’কেই গালি দিলো।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৩২) ‘রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে পারতে, তবে নিশ্চয়ই খুব কম হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে...!’

(৩৩) ‘মানুষ যদি মৃত ব্যক্তির আর্তনাদ দেখতে এবং শুনতে পেতো, তাহলে মানুষ মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না না করে নিজের জন্য কাঁদত...’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৩৪) ‘মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সূরা ফাতিহা তোমরা ধীরে ধীরে পাঠ করো, কারণ মহান আল্লাহ নিজে তার জবাব দেন।’ (মুসলিম, হা: ৯১০)।

(৩৫) ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনদের পাল্লায় ভারী হবে সেটি হচ্ছে সুন্দর চরিত্র।’ -আবু দাউদ, হাদিস: ৪১০১)।

(৩৬) ‘কবরের ভেতরের প্রথম চাপ পৃথিবীর সব কষ্টকে হার মানিয়ে দেবে।’ -হজরত মোহাম্মদ (সা.)।

(৩৭) হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তির অন্তরে এক সরিষা দানা পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না। -সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৯১।

(৩৮) ‘কেয়ামতের দিন ওই ব্যাক্তির জন্য সুপারিশ করা হবে, যে প্রচুর শীত উপেক্ষা করেও ফজরের নামাজ আদায় করলো।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

(৩৯) ‘নিশ্চয় মহান আল্লাহ নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র স্বভাবের লোককে যা দান করেন, তা কঠিন স্বভাবের লোককে দান করেন না।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)। (আবু দাউদ-৪৮০৭, সহিহ)।

(৪০) ‘কবর মানুষকে দিনে ৭০ বার করে স্বরণ করে।’ -হজরত মুহাম্মদ (সা.)।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা