• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

গাজায় ইসরাইলের বর্বরতা চলছেই নারী ও শিশুরাও হত্যাকান্ডের শিকার

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৩  

ফিলিস্তীন জনগন এবং জনপদ বিশ্ববাসির কাছে অতি পরিচিত না, এই নামের সাথে পরিচিত নির্যাতন, নিপিড়ন, নিষ্ঠুরতা এবং নিজ ভূমিতে পরাধীনতার উপাখ্যান, বছরের পর বছর, যুগ হতে যুগান্তর ফিলিস্তীনিরা নিজ ভূমিতে কেবলমাত্র নির্যাতিত নন নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়ে এসেছে। বর্তমান সময়ে হত্যাকান্ড মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। গত চৌদ্দ দিন যাবৎ গাজায় চলছে অব্যাহত বোমা হামলা ইসরাইলের যুদ্ধ বিমানগুলো গাজার জনবসতি গুলোর উপর আছড়ে পড়ছে। নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তীনিদের অথচ বিশ্ব মাতবর খ্যাত বিশ্ব নেতৃত্ব ইসরাইলকে সমর্থন এবং অস্ত্র সহ অপরাপর সাহায্য সহযোগিতা করে চলেছে। নিরীহ ফিলিস্তীনিদের উপর এমন বর্বরোচিত হত্যাকান্ড অতীতে কোন সময়ে ঘটেনি। অন্য সময় গুলোতে ফিলিস্তীন হত্যাকান্ড করার ক্ষেত্রে ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল প্রতিবন্ধকতা বা প্রতিরোধ হামলার না হলেও এবার তারা হামাস ও হিজবুল্লার দ্বারা প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে। ফিলিস্তীন মুক্তি সংগ্রামের সংগঠন হামাস যোদ্ধারা ইসরাইলের বিপক্ষে তাদের সাধ্যানুযায়ী প্রতিরোধ হামলা পরিচালনা করে চলেছে। ইসরাইলের বাহিনী (কয়েক লক্ষ) গাজা সীমান্ত বরাবর অবস্থান করলেও এখনও পর্যন্ত গাজায় সুষ্ঠ অভিযান পরিচালনা করতে অনুপ্রবেশ করেনি। ধারনা করা হচ্ছে আরও কয়েকদিন গাজায় বিমান হামলা পরিচালনা করার মাধ্যমে হামাসের শক্তি ক্ষয়ের পর অভিযান পরিচালনা করবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের আতঙ্ক হামাস যোদ্ধারা কারন হামাস যেমন প্রশিক্ষন প্রাপ্ত অনুরুপ ভাবে হামাস যোদ্ধাদের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্রের মওজুদ থাকা স্বাভাবিক যে কারনে ইসরাইল ধীরে চলো নীতির প্রয়োগ ঘটাতে চাইছে। ইসরাইল যে ভাবে একের পর এক নিষ্ঠুরতা দেখিয়ে যাচ্ছে তা তারা মানুষ হিসেবে দাবী করার নুন্যতম অধিকার ও হারিয়েছে। কতটুকু বর্বর হলে হাসপাতালে তারা বোমা হামলা করতে পারে। আল আহলি আল আরবি হাসপাতালে বোমা হামলা ইহুদীদেরকে বিশ্ববাসি কেবল জঘন্যতম জাতি হিসেবে নয় অমানবিক হিসেবেই দেখছে। ইসরাইলের এমন জঘন্যতম কর্মকান্ড কি জাতিসংঘ দায় এড়াতে পারে? গত কয়েকদিনে গাজার পশ্চিম তীরে ইসরাইলের হামলার পাশাপাশি শতাধিক ফিলিস্তীনিকে গ্রেফতার করেছে। গত দুই দিন পশ্চিম তীরের ফিলিস্তীনি শরনার্থী শিবিরেরও হামলা চালিয়েছে বর্বর ইসরাইলী বাহিনী। ফিলিস্তীনিদের চরম এই দুঃসময়ে রাশিয়া তাদের পাশে আছে। ফিলিস্তীনিদের গণহত্যার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছে আরব বিশ্ব আর এমনটির কল্যানে ফিলিস্তীনিরা সাহস ফিরে পাচ্ছে, সৌদি আরব প্রতিদিনই ফিলিস্তীনিদের পক্ষে ও ইসরাইলের আগ্রাসন ও হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চলেছে। গতকাল সৌদি আরবের যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী ফিলিস্তীনিদের ভু-খন্ড ফিরিয়ে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, গাজায় একের পর এক নিরীহ ফিলিস্তীনিরা তারা যাচ্ছে, অবিলম্বে এই হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে সৌদি আরব কোন অবস্থাতেই নিরীহ মানুষের উপর হামলা মেনে নেবেনা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সাথে সৌদি প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ফোনালাপের মাধ্যমে ফিলিস্তীনিদের উপর হামলা বন্দ সহ জোর পূর্বক তাদের বাস্তচ্যুত করার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানান। গাজার উপর অবরোধ তুলে নেওয়া এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তীনিদের ত্রান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার বিষয়ে তুলে ধরেন। গাজায় ইসরাইলের বর্বরতায় বিশ্বমানবতা কেবল উদ্বিগ্ন তা নয় আতঙ্কিত, শিশু ও নারীদের উপর ও নির্যাতন করছে বর্বর বাহিনী। হামাস বারবার বলে আসছে তারা কোন ভাবেই ইসরাইলের বশ্যতা স্বীকার করবে না হয় মরবো না হয় মারবো। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি ছেড়ে আমরা কোথাও যাব না। দখলদার ইসরাইলী বাহিনীকেই দখল দারিত্ব ছেড়ে বিদায় নিতে হবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা