• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

ভালো আছে নীলগাইটি

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯  

তিনদিন আগে আসা নীল গাইটিকে নওগাঁর মান্দা উপজেলার জোতবাজার এলাকায় পাওয়া গিয়েছিল। রাজশাহীতে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিচর্যা কেন্দ্রে আনার পর ভালো আছে নীলগাইটি। প্রথমে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছিল। কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণও করেছিল। তবে এখন নীলগাইটি অনেকটাই স্বাভাবিক।

গত মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় স্থানীয় লোকজনের হাতে ধরা পড়ে নীল গাইটি। ওইদিন রাতেই ছোট ট্রাকে করে গাইটিকে রাজশাহীতে বন্যপ্রাণী পরিচর্যা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। ধরার সময় গাইটির শরীরে ক্ষত হয়। রাজশাহীতে আনার পর থেকেই তার চিকিৎসা চলছে।

রাজশাহী চিড়িয়াখানার ভেটেরিনারি সার্জন ফরহাদ উদ্দিন বলেন, উদ্ধারের সময় পায়ে, পেটে, রানের কাছে আঘাত পেয়েছিল নীলগাইটি। এতে শরীরের ওই জায়গাগুলোতে ক্ষত হয়েছে। সেখান থেকে কোনো সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সে জন্য অ্যান্টিবায়োটিকসহ বেশ কয়েকটি ওষুধ নীল গাইটিকে দেওয়া হয়। আশা করা হচ্ছে, আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে।

রাজশাহী জেলা বন কর্মকর্তা (বন্যপ্রাণী) জিল্লুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ভারত থেকে নীলগাইটি এসেছে। দুইদিন থেকে গাইটি কিছু খায়নি। মানুষ দেখলেই ভয় পাচ্ছে। অস্বাভাবিক আচরণ করছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর দেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে গাইটি খাবার খাচ্ছে। পানিও খাচ্ছে। এখনও ঘাসজাতীয় কিছু খেতে দেওয়া হয়নি। নীল গাইটির চিকিৎসা চলছে। 

সুস্থ হলে কোথায় ছেড়ে দেওয়া হবে জানতে চাইলে জিল্লুর রহমান বলেন, এর আগে দিনাজপুরেও ভারত থেকে আসা একটি নারী নীলগাই ধরা পড়েছিল। সেটিকে রামসাগর জাতীয় উদ্যানে প্রাকৃতিক পরিবেশে রাখা হয়েছে। রাজশাহীর এই নীলগাইটি পুরুষ। সুস্থ হলে দুইটিকে এক জায়গায় রাখা হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এসএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, লোকালয়ে ঢুকে পড়ে নীলগাইটি এমনিতেই ঘাবড়ে গেছে। এর ওপর তাকে ধরতে গ্রামের মানুষের প্রাণপণ চেষ্টা, চিৎকার, হৈ-হুল্লোরে প্রাণীটি আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই প্রাণীটি বিরল। বিলুপ্ত প্রায় এই প্রাণীর সংখ্যা বাংলাদেশে এখন দুইটিতে দাঁড়াল। আর সৌভাগ্যক্রমে এবারের প্রাণীটি পুরুষ। এরা দুজনই প্রাপ্তবয়স্ক। তাই তাদের একসঙ্গে রাখা হলে স্বাভাবিক নিয়মেই বংশ বিস্তার করবে। ফলে বিলুপ্ত প্রায় এই বন্যপ্রাণীটির সংখ্যা আবারও বাড়ানো যাবে।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা