• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ষাট গম্বুজ বার্তা

কচুয়ায় গণহত্যা দিবস পালিত

ষাট গম্বুজ টাইমস

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০১৮  

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার শাখারকাঠী বাজারে সোমবার গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিকেলে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও গণসঙ্গীতের আয়োজন করা হয়। কচুয়া উপজেলার বাধাল ইউপি আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নিমাই চন্দ্র দাস। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাগেরহাট-২ আসনের এমপি অ্যাড. মীর শওকাত আলী বাদশা।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজরা ওবায়দুর রেজা সেলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদুল ইসলাম মন্নু, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আ. কাদের, বাধাল ইউপি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কোতোয়াল আলতাফ হোসেন, ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি কোতোয়াল ইলিয়াচ আহম্মেদ, সাধারন সম্পাদক সরদার দেলোয়ার হোসেন।

নিহতদের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধে নিহত কালিপদ দাসের স্ত্রী দুলালী রানী দাস বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর পার হলেও আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তেমন কোনো অনুদান আমরা পাইনি। আমরা শহীদ মুক্তিযোদ্ধার অধিকার পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু নিমাই চন্দ্র দাস বলেন, ১৯৭১ সালের ৪ নভেম্বর রাতে মোড়েলগঞ্জের দৈবজ্ঞহাঠীতে রাজাকারদের ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা হামলার পরিকল্পনা করে এবং হামলা চালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে ব্যর্থ হয়। এর জের ধরে পরদিন ৫ নভেম্বর (বাংলা ১৮ই কার্তিক) শুক্রবার বিকেলে শাখারকাঠী বাজারে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানী দোষরদের সহযোগী রাজাকাররা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষসহ ৯০ জনকে একই সঙ্গে হাতে হাত বেধে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে ৪২ জন সনাতন ধর্মীয় লোক শহীদ হন। তাদের মৃতদেহ একই সঙ্গে দড়ি বেধে খালের ভিতর দিয়ে টেনে নিয়ে পাশ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর বিশখালী নদীর চরে এক সঙ্গে মাটি চাপা দেয়। ওই সময় গুলি লাগার পর যারা পালিয়ে গিয়েছিল, তারা অঙ্গহীন অবস্থায় কিছু দিন থেকে মারা যায়। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৪৬ বছর অতিবাহিত হলেও আজও অযত্মে অবহেলায় পড়ে আছে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভটি।

ষাট গম্বুজ বার্তা
ষাট গম্বুজ বার্তা